মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের চলমান কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতারা যদি সোচ্চার না হন তাহলে অকল্পনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে তেলের দাম। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘সিবিএস নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন সউদী যুবরাজ ও ভবিষ্যত শাসক মুহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সউদী আরব ও ইরানের যুদ্ধ বাঁধলে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যুবরাজ। তবে সামরিক শক্তির সাহায্যে ইরানকে মোকাবেলা করার চেয়ে, রাজনৈতিক উপায়ে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে যুবরাজ দাবি করেন, প্রত্যাঘাত করতে গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। কারণ ওই অঞ্চল থেকে সমগ্র বিশ্বের ৩০ শতাংশ শক্তি সরবরাহ হয়। ২০ শতাংশ বিশ্ব বাণিজ্য এবং ৪ শতাংশ জিডিপিও ওই অঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরু হলে এ সব ব্যাহত হবে। তাতে শুধুমাত্র সৌদি আরব বা পশ্চিম এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে আলোচনায় বসতে চান। আমরা সবাই সেটাই চাই। কিন্তু ইরানই কোন আলোচনায় বসতে চায় না।’
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে সউদী আরবে দুটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই হামলায় সেদিন ১৮টি ড্রোন আর ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল। যার ফলে সউদী আরবের তেল উৎপাদন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সউদী আরব এই হামলার জন্য তার ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এর দায়ভার স্বীকার করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছে যে, ওই হামলার পেছনে ‘ইরানই দায়ী ছিল’। তবে হুথিদের যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা তিনি ইতিবাচক বলে মনে করেন। তার মতে, আলোচনার মাধ্যমে ইয়েমেনের সমস্য সমাধানের ক্ষেত্রে এটি একটি পদক্ষেপ।
সাক্ষাৎকারে গত বছর তুরস্কের সউদী দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকান্ডের বিষয়েও কথাবার্তা হয়। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে আরো সচেষ্ট হবেন বলে জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ‘একজন সউদী নেতা হিসেবে এই ঘটনার দায়ভার আমার উপরেও আসে। কারণ, যারা এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা সউদী সরকারের হয়ে কাজ করত।’
সউদী রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনার জন্য তিনি নিজে সরাসরি এই হত্যাকান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে সউদী যুবরাজের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছেন তিনি। এই বিষয়ে আদৌ তার কোন তথ্য ‘জানা ছিল কিনা’ সেই অভিযোগও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।