মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় আবার শুরু হলো নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি। সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনও করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। শুক্রবার পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও শনিবার দু’টি ঘটনায় ছয় জঙ্গি এবং এক সেনা সদস্যের মৃত্যুতেও উত্তেজনা বেড়েছে। সব মিলিয়ে আবারো কঠোরভাবে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘে কাশ্মীর নিয়ে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘১৩০ কোটির দেশ ভারতের বাজারকে তোষণ করবে, নাকি নিরপরাধ মানুষকে সাহায্য করবে, সেটা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে ভেবে দেখতে হবে। সেটা না হলে ভালর আশা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকতে হবে।’
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের পর শুক্রবার রাত থেকেই নতুন করে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে উপত্যকায়। একাধিক জায়গায় ইমরান খানের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে মিছিল হয়। কাশ্মীরের স্বাধীনতাও দবি করেন তারা। তার পর শনিবার থেকেই নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আরো বড় আকারে এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভের মতো ঘটনা ঘটতে পারে— এই আশঙ্কায় নতুন করে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে বলে সেনার এক পদস্থ কর্তার সূত্রে খবর। কারফিউ জারির পাশাপাশি মোবাইল, ইন্টারনেট এবং ল্যান্ড ফোন সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যানবাহন চলাচলের উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে নতুন করে। শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীকে মাইকে এই বিষয়ে ঘোষণা করতেও দেখা গিয়েছে।
এর মধ্যেই শনিবার উপত্যকায় দু’জায়গায় জঙ্গি হানা এবং এক সেনা সদস্যের মৃত্যু আরও উদ্বেগে ফেলেছে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তাদের। গান্ডেরবালে ভারতীয় সেনাবাহীনির গুলিতে তিনজন এবং বাতোরে তিনজন কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় এক সেনা সদস্যেরও মৃত্যু হয় বাতোরের ঘটনায়। ফলে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর থেকে কার্যত এই প্রথম উপত্যকায় সক্রিয় প্রতিবাদের প্রমাণ পেলেন গোয়েন্দারা।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। তার আগে থেকেই অবশ্য উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণ জারি ছিল। ৩৭০ তুলে দেওয়ার পর কার্যত গোটা জম্মু-কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। মোবাইল, ইন্টারনেট, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে উপত্যকাকে কার্যত ভারতের অন্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। তার পর প্রায় দেড় মাস পরে যখন ধীরে ধীরে নিরাপত্তা শিথিল হতে শুরু করেছিল, তখনই আবার বিক্ষোভের আশঙ্কায় নতুন করে তৎপরতা বাড়াল ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।