মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ দ্রুত প্রত্যাহার চায় যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়াশিংটনের এই মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালিস ওয়েলস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া দেখতে চাই—বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া আর আটককৃতদের মুক্তি।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপকে ঘিরে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। এখনও আটক রয়েছেন সেখানকার শত শত নেতাকর্মী। অভিযোগ উঠেছে, এরপর থেকেই সেখানে সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে বেসামরিক মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ভারত। কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কারের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কও স্থগিত করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের প্রাক্কালে স¤প্রতি নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি আছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালিস ওয়েলস বলেন, উভয় পক্ষ চাইলে মধ্যস্থতায় রাজি আছেন ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাইরের কোনও পক্ষের ভ‚মিকা অস্বীকার করে আসছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কাশ্মীরে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক হারে গ্রেফতার ও সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।