নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভুটানকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এপিএফ কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্টের শেষ চারের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে হারায় ভুটানকে। বিজয়ী দলের হয়ে ডিফেন্ডার তানভীর হোসেন, ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মারাজ হোসেন ও বদলি খেলোয়াড় মিডফিল্ডার দ্বীপক রায় একটি করে গোল করেন। সাফে নিজেদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ দল। গত দুই আসরে সেমিফাইনালিস্ট এবং সর্বশেষ আসরের রানার্সআপ লাল-সবুজরা দ্বিতীয়বারের মতো উঠেছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। এদিন বিকেলে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত একই ব্যবধানে মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গি হয়। রোববার শিরোপার জন্য লড়বে দু’দল। বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে ৩টায় শুরু হবে ফাইনাল। চলতি আসরেই গ্রæপ পর্বে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ২০১৫ সালে নেপালের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন গুঁড়িয়েছিল ভারতের। আর ২০১৭ সালের ফাইনালে বাংলাদেশ সেই নেপাল কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়ে ঘরে ফিরেছিল।
বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় লাল-সবুজরা। বলা যায় প্রথম সেমিফাইনালে একপেশে লড়াই দেখেছেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে খেলে বিজয়ীরা। তবে প্রথম গোলের দেখা পেতে বাংলাদেশকে ১৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এসময় সতীর্থের থ্রো-ইনে জটলার মধ্য থেকে সরাসরি হেডে গোল করেন তানভীর (১-০)। ২৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ডানদিক থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরো দূধর্ষ হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। গোলক্ষুধা যেন তাদের বেড়ে যায়। ফলে প্রথমার্ধেই তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেয় লাল-সবুজরা। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ভুটানী মিডফিল্ডারের ভুলে মাঝমাঠে বল পেয়ে যান মারাজ হোসেন। সেই বল ধরে
ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি (৩-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল পায় বাংলাদেশ। তবে এই অর্ধে একাধিক গোল হতে পারতো। কিন্তু ভুটানের ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় তা আর হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালালেও কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+২ মিনিট) আসলো গোল। এসময় বদলি খেলোয়াড় দ্বীপক চতুর্থ গোল করে বাংলাদেশের বড় জয় নিশ্চিত করেন (৪-০)।
এর আগে ‘বি’ গ্রæপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের ভারতের সঙ্গে গোলশূণ্য ড্র করে লটারি ভাগ্যে গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা পায় বাংলাদেশ। লটারিতে এই গ্রæপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।