মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চোটের অবস্থা জানতে এমআরআই পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু সেই এমআরআই করাতে গিয়ে যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হতে হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বৃদ্ধ রামহর লোহার (৫৯)। অভিযোগ, তাকে এমআরআই মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়ে ভুলে গিয়েছিলেন টেকনিশিয়ান! বেশ কিছুক্ষণ পরে নিজের চেষ্টায় কোনো মতে মেশিন থেকে বাইরে আসেন তিনি। চমকে দেয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিন কয়েক আগে ভারতের হরিয়ানার পঞ্চকুলার রামহর লোহার (৫৯) মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। দুর্ঘটনায় কাঁধে আঘাত পান তিনি। চিকিৎসক ললিত কৌশল তাকে কাঁধের এমআরআই করার পরামর্শ দেন। সেই মতো তিনি রোববার বিকেলে পঞ্চকুলার সিভিল হাসপাতালে যান এমআরআই করানোর জন্য।
সেখানে গিয়ে হাসপাতালের সব নিয়ম পূরণ করে এমআরআই রুমে পৌঁছন রামহর লোহার। রামহরের দাবি, সেখানে টেকনিশিয়ান তাকে বলেন, পরীক্ষার জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট এমআরআই মেশিনের মধ্যে থাকতে হবে। সেই মতো তাকে এমআরআই মেশিনে শুইয়ে বেল্ট দিয়ে শক্ত করে আটকে দেয়া হয়, যাতে নড়াচড়া না করতে পারেন।
রামহরের দাবি, ১৫ মিনিট তো দূরের কথা প্রায় ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও তাকে বের করা হয়নি এমআরআই মেশিন থেকে। একপর্যায়ে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে। এমনকি মেশিনের মধ্যে তাপও ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু তারপরেও তাকে বের করা হয় না। এক সময় তিনি কাঁদতে শুরু করে দেন। কিন্তু তাও কেউ তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। কারণ এমআরআই মেশিনের ওই ঘরে কেউ ছিলেনই না।
লোহার বুঝতে পারেন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছিল, মেশিন থেকে শিগগির বেরতে না পারলে তিনি মারা যেতে পারেন। তাই তিনি নিজেই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। বেল্ট ছিঁড়ে বেরনোর চেষ্টা করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সফলও হন লোহার।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : আনন্দ বাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।