Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে উন্নয়ন কাজে ঢাকা-মাওয়া সংযোগ সড়কে ভোগান্তি চরমে

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৩ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার। দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে কদমতলী থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ করে। আবার রাজধানী থেকে বের হয়ে মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণ বঙ্গগামী শতশত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এই সংযোগ সড়কে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের তেঘরিয়া থেকে কদমতলী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার। বাকী রাস্তায় উন্নয়ন কাজের জন্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে। আবার সারা রাস্তাটি কাঁদায় ভরে যায়। এসময় রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন চরম অসুবিধায় পড়ে। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করার সময় কখনো কখনো বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। আবার অনেক সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনার কবলেও পড়ে। এতে অনেক বাসযাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার অনেক মালবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন বিকল বা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে গাড়িতে থাকা বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে গাড়ির চালক ও মালপত্রের মালিকদের কষ্টের সীমা থাকে না। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালগামী বিভিন্ন রোগীদেরও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার জরাজীর্ণ এই অবস্থার জন্য প্রতিনিয়ত এখানে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা সৃষ্ট যানজটে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।

এই যানজটের ধাক্কা রাজধানীর পল্টন মোড় পর্যন্ত গড়ায়। গত দুই বছরের অধিক সময় রাস্তার এই বেহাল অবস্থায় রাস্তার পাশে থাকা শতশত বিভিন্ন দোকান-পাটে কেনা-বেঁচা না থাকায় ইতিমধ্যে অনেক দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। বাকী দোকানগুলো প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে জন্য বর্তমান সরকার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরন ও কদমতলী-ঢাকা-মাওয়া সংযোগ সড়কে ফ্লাইওভার নির্মান প্রকল্প গ্রহন করেন যার নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা যথা সময়ে না হয়ে কাজের মেয়াদ ও ব্যায় দুটোই পুনরায় এক্সটেনশন করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের চলমান নির্মান কাজে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে কোন অসুবিধার সৃষ্টি না হলেও কদমতলী-ঢাকা-মাওয়া সংযোগ সড়কে যানবাহন চলাচলে নানা অসুবিধার অন্ত নেই।গত তিন বছরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অনেক যানবাহন নষ্ট হয়ে চলাচলে অনোপযোগী হয়ে পড়েছে।

এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক আবুল খায়ের জানান, সংযোগ সড়কের পুরা রাস্তাটি খানাখন্দে ও কাঁদায় পরিপুর্ন থাকায় দিনে একবার যাত্রী নিয়ে এই রাস্তায় চললে দ্বিতীয়বার আর চলাচল করা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাওয়াগামী চন্দ্রা পরবিহন বাসের এক চালক জানান,এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বাসের যাত্রীরাও যেমন অনেক ভোগান্তি পোহায় তেমনি বাসেরও বারটা বেজে যায়। আমরা সরকারের এই উন্নয়ন প্রকল্পকে স্বাগত জানাই। তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যানবাহন চলাচলের এই রাস্তাটিতে যদি ইটের খোয়া বা অন্য কিছু ফেলে একটু মেরামত করে দিতেন তাহলে শতশত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ অনেক উপকৃত হতেন। বেগুন বাড়ি এলাকার সাদেক ওয়ার্কশপের মালিক মোঃ সাদেক জানান, রাস্তার দুরাবস্তার জন্য তার ওয়ার্কশপে কোন লোক আসেন না। তাই বাদ্য হয়েই তিনি তার ওয়ার্কশপটি বন্ধ করে দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উন্নয়ন প্রকল্প

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ