মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দু’পক্ষ রাজি হলে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চান বলে সোমবার ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর আবারো আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে তার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, কাশ্মীরবাসীকে উন্নততর জীবনযাত্রার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করে দেখান।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নিউইয়র্কে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ট্রাম্প। তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে মোদিকে উৎসাহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই সঙ্গে কাশ্মীরবাসীকে যে উন্নততর জীবনযাত্রার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ও পূরণ করতে বলছেন তিনি।’
গত ৫ আগস্ট সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর দু’মাস কাটতে চললেও, এখনও অবরুদ্ধ উপত্যকা। সংবাদমাধ্যম এবং অন্য রাজ্য বা দেশ থেকে এখনও কারও প্রবেশের অনুমতি নেই সেখানে। তাই উপত্যকায় কী ঘটছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নেই কারও। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে ভারতকে কোণঠাসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। তার আগে মঙ্গলবার ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও মোদি। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কাশ্মীর প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে একাধিক বার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। দু’দিন পর জাতিসংঘেও বিষয়টি তুলে ধরবেন ইমরান। তার আগে ট্রাম্পের এই মন্তব্যে কিছুটা হলেও ভারতের অস্বস্তি বাড়ল মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তবে ওই একই বৈঠকে মোদির প্রশংসাও করেন ট্রাম্প। পারলে মোদি-ই মুসলিম মৌলবাদের মোকাবিলা করতে পারেন বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে মোদিকে ‘ভারতের জনক’ বলেও উল্লএখ করেন তিনি।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, একে অপরকে জানার সুযোগ পেলে, নরেন্দ্র মোদি এবং ইমরান খানের মধ্যে রসায়ন ভালই জমবে। দু’জনের মধ্যে কথা হলে, তা থেকে ভাল কিছু বেরিয়ে আসবেই। আর কাশ্মীর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারলে তো কথাই নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।