Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিআইএ-র গোপন মিশনে ভবিষ্যত ঘুরে আসা প্রথম টাইম ট্রাভেলার!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:০৩ পিএম | আপডেট : ৬:১০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

টাইম ট্রাভেল বাস্তবে সম্ভব হবে, বিজ্ঞানীরা এখনও তেমন আশার বাণী না শোনালেও, নানা সময়ে নানা লোক টাইম ট্রাভেলের ‘গল্প’ শুনিয়েছেন আমাদের। তাদেরই একজন আলেকজান্ডার স্মিথ। যিনি নিজেকে মার্কিন গোয়ন্দা সংস্থার সিআইএ-র টাইম ট্রাভেলের গোপন মিশনের অংশ বলে দাবি করেছেন।

বছর খানেক আগে একটা ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে সিআইএ-র গোপন মিশন এবং টাইম ট্রাভেল নিয়ে নানা ‘তথ্য’ সামনে এসেছিলেন তিনি। স্মিথের দাবি, অনেক ভেবে সিআইএ-র গোয়েন্দারা স্থির করেন ছোট বাচ্চাকেই এই মিশনের অংশ করা হবে। যুক্তি ছিল, ছোটরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে নেয়। টাইম ট্রাভেলের ধকল নাকি খুব সহজেই তাদের শরীর মানিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করেছিল সিআইএ। তাদের কোষ বিভাজন অনেক বেশি হয়, এবং প্রতিটা কোষই খুব সক্রিয়। তাই ব্রেনে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা কম। প্রচুর বাচ্চার ইন্টারভিউ নিয়েছিল সিআইএ। এর পরেই নাকি স্মিথকে বেছে নেয় তারা।

নিজের নামটুকু ছাড়া স্মিথ অবশ্য নিজের সম্বন্ধে আর কিছুই প্রকাশ্যে আনেননি। তিনি শুধু টাইম ট্রাভেল সম্বন্ধেই জানিয়েছেন। তার দাবি, ১৯৮১ সালে তিনি নাকি টাইম ট্রাভেল করেছিলেন। আর পৌঁছে গিয়েছিলেন ২১১৮ সালে। অর্থাৎ ১৩৭ বছর এগিয়ে। তার দাবি, এটাই নাকি বিশ্বের প্রথম টাইম ট্রাভেলের ঘটনা। তিনি যা বলছেন, তার সত্যতা প্রমাণ করতে ‘ভবিষ্যতের ছবি’ও তিনি ইউটিউবে দেখিয়েছিলেন। সেটা আসলে একটি শহরের ছবি। ছবিটা বেশ ঝাপসা। দেখে মনে হচ্ছে, অদ্ভুত আকারের লম্বা লম্বা কতগুলো বাড়ি দাঁড়িয়ে। স্মিথের দাবি ছিল, ওগুলোই ভবিষ্যতের বাড়ি। আঁকাবাঁকা আকারের, সবুজ রঙের। তার দাবি, এই বাড়িগুলো বর্তমানের থেকে অনেক উন্নত প্রযুক্তির।

কিন্তু ছবিটা ঝাপসা, টাইম ট্রাভেলের জন্যই ছবিটা পরিষ্কার ওঠেনি। স্মিথ যে ছবিটা দেখিয়েছিলেন, সেটা তার তোলা ওই শহরের আসল ছবি নয়, নিজেই জানিয়েছিলেন এটা। ১৯৮১ সালে টাইম ট্রাভেল করে ফিরে আসার পরই সিআইএ-র গোয়েন্দারা তার কাছ থেকে আসল ছবিটা নিয়ে নেন। তার আগেই অবশ্য তার একটা কপি করে রেখেছিলেন স্মিথ। সেটাই ভিডিওতে দেখিয়েছেন।

এতদিন পরে খবরটা কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি সঠিক সময়ের সন্ধানে ছিলাম। কারণ ১৯৮১ সালে যদি এ কথাটা আমি প্রকাশ্যে আনতাম, কেউই বিশ্বাস করতেন না। বলাটা ঠিক হবে কি না বুঝে উঠতেই পারছিলাম না এত দিন।’

গোপন মিশনের খবর বাইরে চলে যেতে পারে, এই সন্দেহে তাকে নাকি বহু দিন ধরেই খুঁজছে সিআইএ। তিনি লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও দাবি করেন স্মিথ। তবে সিআইএ এই পুরো বিষয়টাকেই অস্বীকার করেছে। টাইম ট্রাভেল এখনও কাল্পনিক, জানিয়েছে তারা।

শুধু এই একটা ঘটনাই নয়, একাধিক ব্যক্তি টাইম ট্রাভেলের ‘সত্যতা’ আমাদের সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। তারা যে সত্যিই ভবিষ্যৎ ঘুরে ফেলেছেন, তার প্রমাণ দেখানোর মরিয়া চেষ্টা করেছেন। স্মিথের পর যেমন সে তালিকায় রয়েছেন আর এক যুবক। ওই যুবক আবার নিজের নাম জানাতে চাননি। তবে স্মিথের মতো ভবিষ্যতের এক শহরের ছবি তিনিও দেখিয়েছিলেন। সেই ছবিটাও স্পষ্ট ছিল না। এই যুবকের দাবি, তিনি ৬০০০ সালের বিশ্ব দেখে ফেলেছেন। তখন কেমন হবে পৃথিবী? মানুষ তখন ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ফেলবে। এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসে ঘাঁটি গাড়বে, দাবি করেছিলেন তিনি। তার আরো দাবি, টাইম ট্রাভেলের কাজ এগিয়ে চলছে বিজ্ঞানী মহলে। এখন হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না। কিন্তু টাইম ট্রাভেল যে সত্যিই সম্ভব, তা ২০২৮ সালে প্রকাশ করবেন বিজ্ঞানীরা। ওই যুবক এও দাবি করেছিলেন, ৬০০০ সালে প্রযুক্তি এতটাই উন্নতি হয়ে যাবে যে, তখন মানুষকেও চালনা করবে প্রযুক্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ