মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচিত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ওয়াটারবোর্ডিংসহ কুখ্যাত নির্যাতন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে পারেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে প্রচারণার সময় এমন আভাস দিয়েছিলেন তিনি। অপরদিকে বুশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে পারেন, এমন ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বুশ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছিল। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ন্যাশনাল ক্লানডেস্টাইন সার্ভিস (এনসিএস)-এর পরিচালক হোসে রডরিগুয়েজ। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের ধারণা, হোসে রডরিগুয়েজকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস, সিআইএ-এর দায়িত্ব দিতে পারেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বর্তমান সিআইএ পরিচালক ব্রেসনান জানিয়েছেন, ট্রাম্প যদি ওয়াটারবোর্ডিংয়ের মতো জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাতনমূলক পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে তিনি রাজি হবেন না। আর রডরিগুয়েজ বুশের সময় এসব নির্যাতন পদ্ধতি চালু করেছিলেন। তিনিই সিআইএ-এর বেশ কয়েকটি ব্ল্যাকলিস্টেড সাইট (অজ্ঞাত টর্চার সেল) গড়ে তুলেছিলেন। ফলে সিআইএ-র দায়িত্ব ট্রাম্প তাকে দিতেই পারেন। বুশ প্রশাসনের আরো যেসব কর্মকর্তাকে ট্রাম্প নিয়োগ দিতে পারেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্টিফেন হ্যাডলি। তাকে সেক্রেটারি অব ডিফেন্সের দায়িত্ব দিতে পারেন ট্রাম্প। বুশের সময়কার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সাবেক প্রসিকিউটর ক্রিস ক্রিসটি। ট্রাম্প তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন। খবরে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন তাহলে ওয়াটারবোর্ডিংসহ জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বোমা হামলার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি জঙ্গিরা আরো হামলা করে তাহলে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের চেয়ে নিষ্ঠুর পদ্ধতি চালু করবেন। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করতেই হবে আমাদের। ওয়াটারবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় বন্দিদের মুখম-লে নাক ও মুখ একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এরপর কাপড়টিতে টানা পানি ফেলা হয়। মুখে কাপড় থাকায় বন্দির পক্ষে শ্বাস নেয়া সম্ভব হয় না। বন্দির মুখ ও নাক দিয়ে পানি প্রবেশ করে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ৪০ সেকেন্ড পরপর এভাবে বন্দিকে নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কয়েকবার এ পদ্ধতিতে নির্যাতন চালানো হয়। ২০১২ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, সিআইএ অন্তত তিন বন্দির ওপর এ ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়। খবরে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক আইনে নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদকে তাই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বুশ প্রশাসনের অধীনে ওয়াটারবোর্ডিং ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রচলন করা হয়। এগুলো মধ্যে রয়েছে, মলদ্বার দিয়ে খাবার ঢুকিয়ে দেয়া ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জলযোজন, ঘুমাতে না দেয়া এবং যৌন নিপীড়ন। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পরই এসব পদ্ধতি চালু হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর এক নির্বাহী আদেশে জিজ্ঞাসাবাদের এসব প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। দ্য ইন্টারসেপ্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।