মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘পথের কাঁটা’ সরার অপেক্ষায় যখন দিন গুনছে বেইজিং, তখন ওয়াশিংটন জানিয়ে দিল, তিব্বতকে তার মুঠোয় রাখার জন্য ৮৪ বছর বয়সী ধর্মীয় নেতা চতুর্দশ দালাই লামার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার একতরফা দায়িত্বটা তারা চীনের হাতে তুলে দিতে রাজি নয়। তার জন্য চীনের উপর চাপ বাড়াতে যাতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়, সেই লক্ষ্যে একটি বিলও আনা হল মার্কিন কংগ্রেসে।
আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের এক ডেমোক্র্যাট সদস্য জিম ম্যাকগভার্ন বিলটি এনে বলেছেন, ‘দলাই লামার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করলে শুধুই আমেরিকাই নয়, বেইজিংকে যে আন্তর্জাতিক বাধার মুখে পড়তে হবে, সেটা বুঝিয়ে দিতেই আনা হয়েছে বিলটি।’
চলতি বছরেই বুকে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দলাই। তার পর থেকেই তার উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরোধের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন দলাই লামা, ১৯৫৯ সালে। সেই সময় অস্থায়ী ভাবে তাকে আশ্রয় দেয় ভারত। পরে তাকে সেখানে থাকার অধিকারও দেওয়া হয়। সেখান থেকেই তিব্বতে একটি স্বয়ংশাসিত সরকার চালান দলাই। মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসাবে পরে নোবেল শান্তি পুরস্কারও দেওয়া হয় তাকে।
মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের বক্তব্য, চীন চাইছে, চতুর্দশ দলাই লামার প্রয়াণের পর পরবর্তী লামা হিসাবে তার পছন্দের কাউকে বেছে নিতে। তাতে পরে বেইজিংয়ের সুবিধা হবে তিব্বতকে চীনের অন্তর্ভুক্ত করতে। সে জন্য বেইজিংয়ের পছন্দ পাঞ্চেন লামা। কিন্তু, বর্তমান দলাই লামার ইচ্ছা, মৃত্যুর আগে তিনি ঘোষণা করে যাবেন, তিনিই শেষ দলাই লামা। বা, কোনও এক যুবতীকে তিনি পরবর্তী লামার দায়িত্বে বসিয়ে যাবেন।
তবে দলাই লামার পরবর্তী কে হবেন, তার জন্য ওয়াশিংটনের ব্যস্ত হয়ে ওঠার মধ্যে বিপদেরও গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে অন্যতম ওয়াশিংটনের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেন ফর টিবেট’-এর সভাপতি মাত্তেও মাকাসসি। দলাই লামার অনুগামী বলে পরিচিত মাকাসসি বলেছেন, ‘দলাই তো এখনও সুস্থই রয়েছেন। এত আগে থেকে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাশ করানোর চেষ্টা চললে চীনও সতর্ক হয়ে যাবে। তারাও বিকল্প পথ খুঁজে নিতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।