Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ঢাবি ‘ছাত্রলীগের’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ঘেরাও করে অবস্থান নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১০জন আহত ও নারী শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়। এরমধ্যে চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আসিফ নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায় অনুষদের একটি ইভিনিং প্রোগামে ছাত্রলীগের ৩৪জন সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীকে ভর্তি হন। তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়মবহির্ভূতভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে ১২টার দিকে টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে ডিনের কার্যালয় ঘেরা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। একই সময় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে সেখানে যান ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার কর্মীরা। এদের অধিকাংশই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারি।

হামলায় ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের চোখের নিচে আঘাত পান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন, রোকেয়া হলের ছাত্রী দীপ্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ। হামলার প্রতিবাদে পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সাথে যোগ দেন ভিপি নুরুল হক নুরও। একই দাবিতে ক্যাম্পাসে আজও কর্মসূচি রয়েছে।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘তথাকথিত রাজনৈতিক কারবারিরা ডিন কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ডেকেছিল। বর্তমান বাস্তবতায় এটি একটি শিক্ষাবিরোধী কর্মসূচি। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সব নিয়ম বহাল রাখার দাবিতে ডিনকে স্মারকলিপি দিতে যায়। আন্দোলনকারীরা আক্রমণাত্মক অবস্থায় ছিল। সেখানে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে দুই পক্ষকেই সংযত থাকতে বলা হয়েছে। মূলত সীমালঙ্ঘনের প্রবণতা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ