প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এ মাসে তফসিল ঘোষণা হলে আগামী মাসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের মধ্যে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কে দাঁড়ালে, কাকে নির্বাচন করলে প্রকৃত অর্থে শিল্পীদের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করবে, সমিতিকে মর্যাদার আসনে স্থাপ এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে- এসব বিষয় নিয়ে হিসাব-নিকাষ করছে তারা। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই এফডিসিতে সাধারণ সদস্য থেকে শুরু করে তারকাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তাদের এসব আলাপ এবং মতামতে একটি বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে, সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এমন ব্যক্তিদের নির্বাচন করতে হবে, যাদের সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং তারা সত্যিকার অর্থে শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি এমন ইমেজ সম্পন্নদের নির্বাচন করতে হবে যারা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে শিল্পীদের সুখ-দুঃখ এবং চলচ্চিত্রের সমস্যা নিয়ে আলোচনার সক্ষমতা রাখে। তাদের এসব গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার মধ্যে দুইজন তারকার কথা বেশি উঠে আসছে। একজন চিত্রনায়ক শাকিব খান, আরেকজন ‘শিল্পীবন্ধু’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করা চিত্রনায়ক ও নির্মাতা ডি এ তায়েব। তারা মনে করছেন, এ দুজন যদি সমিতির নেতৃত্বে আসেন, তবে সমিতির ভাবমর্যাদা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি শিল্পীদের কল্যাণ, স্বার্থরক্ষা ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে, তারা একবাক্যে এ দুজনকে সমর্থন দিয়ে বলেন, চলচ্চিত্রের এ ক্রান্তিকালে এবং শিল্পীদের দুঃসময়ে শাকিব ও তায়েব ভাইÑই সবচেয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারবেন। কারণ তাদের সেই সক্ষমতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা সমিতির বাইরে থেকে এর প্রমাণ দিয়েছেন। শাকিব যে সিনেমায় অভিনয় করছেন, সে সিনেমায় তিনি অনেক বেকার শিল্পীদের প্রতিনিয়ত সুযোগ করে দিচ্ছেন। এতে তারা কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। এছাড়া কাজের বাইরেও সামর্থ্য অনুযায়ী দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। অন্যদিকে ডি এ তায়েব ভাই, অনেক আগে থেকেই অসহায় ও দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার গড়া সংগঠন শিল্পী ঐক্যজোটের মাধ্যমে অনেক অসুস্থ শিল্পীর চিকিৎসা সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার সংগঠনের মাধ্যমে চার অসুস্থ শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে সহযোগিতা করেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতার কারণে। একইভাবে শাকিবের পক্ষেও এ কাজ করা সম্ভব। দুজনেরই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ দুজন যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করেন এবং আমরা তাদের সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করি, তবে নিঃসন্দেহে বলা যায়, পুরো চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর কিছু হবে এবং সমিতির মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের শিল্পীদের উচিত হবে, সমিতির নেতৃত্বে তাদের নির্বাচিত করা। প্রশ্ন হচ্ছে, শাকিব ও ডি এ তায়েব নির্বাচন করবেন কিনা? এ ব্যাপারে, ডি এ তায়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিনীত স্বরে বলেন, আমি সমিতির নেতৃত্বে আসব কি আসব নাÑএটা আমার একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। সাধারণ শিল্পীরা যদি মনে করে, আমি এ পদে যোগ্য এবং তাদের জন্য কিছু করতে পারব, তবে তাদের এই ধারণাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমি বরাবরই আমার নিজের অবস্থান থেকে শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে আসছি। আপনারা জানেন, আমার গড়া শিল্পী ঐক্যজোটের মাধ্যমে অনেক শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু করতে চেষ্টা করেছি। শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসলেও তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব, না আসলেও করব। কারণ আমরা শিল্পীরা একই পরিবারের সদস্য এবং একে অন্যের ভাই-বন্ধু। আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে, একজন সদস্য হিসেবে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। আপনি শাকিব খানের সাথে সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়াচ্ছেন, এমন কথা শিল্পীদের মাঝে আলোচিত হচ্ছে এবং তারা মনে করছেন আপনাকে সমিতির প্রয়োজন। আপনি শাকিব খানের সাথে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা আছে। এ ব্যাপারে শাকিব খানের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তিনিও মনে করছেন, আমরা দুজন একটি প্যানেলে নির্বাচন করলে সমিতি ও শিল্পীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে পারব। কারণ আমাদের দুজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন। আমরা শিল্পী ও সমিতির মর্যাদা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে পারব। তায়েব বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে শিল্পীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই। এখানে ফিল্মি পলিটিক্সের কোনো বিষয় নেই। আর আমাদের দু’জনের চাওয়া-পাওয়ারও কিছু নেই। আমাদের একটাই চাওয়া, আমাদের শিল্পীরা যাতে সম্মানের সাথে সুস্থ্যভাবে জীবনযাপন করতে পারে এবং একে অপরের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে চলতে পারি। এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমাদের প্যানেলকে যদি শিল্পীরা নির্বাচিত করেন, তবে আমরা আমাদের কথা কাজে পরিণত করে দেখাব। মাত্র দুই বছরের জন্যই তো! শিল্পীরা আমাদের এ সুযোগ দিয়ে দেখুক না, আমরা পারি কিনা। হ্যাঁ, ইতোমধ্যে অনেক সিনিয়র শিল্পী থেকে শুরু করে এ সময়ের জনপ্রিয় অনেক তারকা আমাদেরকে নির্বাচন করতে উৎসাহিত করছেন। আমরা উৎসাহিত হচ্ছি। এটাই আমাদের বড় শক্তি এবং আমরা আশা করব তারাসহ সকল শিল্পী আমাদের পাশে থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।