নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে প্রায় দর্শক বানিয়ে টেস্ট জিতেছিল রশিদ খানের দল। ঢাকায় টি-টোয়েন্টিতেও একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি। কেন এমনটা হচ্ছে? ‘জানি না’- গতপরশু ম্যাচ হারের পর বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
২২ গজে ন্যূনতম প্রতিদ্ব›িদ্বতাও করতে পারছে না বাংলাদেশ। দুই দলের ব্যবধান কি এতটাই বড়? সাকিবের সোজাসাপটা উত্তর, ‘টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান অবশ্যই বড় দল। আমরা দশে, ওরা সাতে। আমাদের ওপরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা। যাদের বিপক্ষে আমরা মাঝে মাঝে জিতি, মাঝে মাঝে হারি। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমরা দেরাদুনে হেরেছিলাম। ওরা যে এগিয়ে সেটা আবারো প্রমাণ হলো।’
ম্যাচ হারের পেছনে আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিলেও সতীর্থদের পারফরম্যান্সে সাকিবের হতাশ বেশি। বিশেষ করে দল হিসেবে খেলতে না পারার আক্ষেপ ঝরল তার কন্ঠে, ‘দল হিসেবে খেলতে না পারার ঘাটতি প্রকট আকারে দাঁড়াচ্ছে। দল হয়ে যতক্ষণ না খেলতে পারছি ততক্ষণ ভালো ফল পাওয়া সম্ভব না।’
বোলিংয়ে মোটামুটি লড়াই করলেও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একেবারে তলানিতে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না। মিডল অর্ডারে লড়াই করলেও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ। আফগানিস্তানের স্পিনের সামনে ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের ভুগতে থাকার করুণ দৃশ্য ফুটে উঠছে ম্যাচে।
স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা এলোপাথাড়ি শট খেলেছেন নিয়মিত। সুইপ, রিভার্স-সুইপের আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ সাব্বির, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহরা। এর কারণ হিসেবে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি মানসিকতাতেও সামস্যা দেখছেন সাকিব, ‘আত্মবিশ্বাস তলানিতে পাশাপাশি কী করতে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা, সেটা পরিষ্কার নয়। একটা আরেকটার পরিপূরক।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হার কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না সাকিব। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টি-টোয়েন্টি হার। এমন বাজে সময় সাকিব আন্তর্জাতিক মঞ্চে কখনো কাটাননি। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিজ থেকে পরিকল্পনা সাজানোর বার্তা দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘প্রত্যেককে নিজের দায়িত্ব নিজের নিতে হবে। তাদের নিজস্ব গেম প্ল্যান তাদের তৈরি করতে হবে। কীভাবে তারা এটা ওভারকাম করতে পারবে। কোচ যতই বলুক, অন্যরা যতই বলুক দিন শেষে খেলাটা নিজেকে খেলতে হয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটাই নিজেকে করতে হয়। এই তিনটা জায়গায় আপনি কীভাবে নিজেকে মেলে ধরবেন, কীভাবে সফলতা পাবেন তা আপনাকে চিন্তা করতে হবে। কোচ, ম্যানেজমেন্ট সব ধরনের চেষ্টা করছে। কিন্তু দিন শেষে বাস্তবায়ন আপনাকেই করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।