Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরে প্রতিদিন গড়ে ২০টি প্রতিবাদ সমাবেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

 ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের দমন অভিযান চলছে। কাশ্মীরকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে ল্যান্ডফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ক্যাবলটিভিসহ যোগাযোগের সবরকম ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে। তবে বিস্ময়ের বিষয় হলো এই জুলুম নির্যাতনের মধ্যেও আজাদির পক্ষে ও ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে কাশ্মীরের জনগণ। সরকারের একটি সিনিয়র সূত্র বলেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গড়ে ২০টি প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট নয়া দিল্লি মুসলিম সংখ্যাগুরু এই হিমালয়ান রাজ্যটির বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে ওই অঞ্চলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিলো। প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে ওই ধারা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রশাসিত ভূখÐে পরিণত করা হয়েছে।
শনিবারা রাতে সূত্রটি জানায় যে, সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরের বেশিরভাগ এলাকায় কার্ফু, চলাচলে বিধিনিষেধ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ ও ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরও ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৭২২টি বিক্ষোভ হয়েছে। শ্রীনগরের পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বারমুল্লা জেলা থেকেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র দাবি করে যে, এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ বেসামরিক ও ৪১৫ নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছে। কর্মকর্তাটি বলেন, গত দুই সপ্তাহে ৯৫ জন বেসারিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৪,১০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭০ জন স্থানীয় রাজনীতিক। তবে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৩০০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছেড়ে দেয়া লোকদের মধ্যে কোন রাজনীতিক রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত দাবি করে আসছে যে জম্মু-কাশ্মীরে তেমন কোন সহিংসতা হয়নি। দমন অভিযান শুরুর পর থেকে মাত্র পাঁচ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে। এসব হত্যাকান্ডের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ি করেছে নিহতদের স্বজনরা।
গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় পুলিশ দাবি করে যে তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরিবহনের সময় সন্দেহভাজন তিনজন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এরপরই কাশ্মীরের নতুন পরিস্থিতির চিত্র সামনে চলে আসে।
পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও ভারত ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে দুবার যুদ্ধ করেছে। দুটি দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে আছে এই অঞ্চল।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে ভারত। তারও আগ থেকে সেখানে ৫০০,০০০-এর বেশি সেনা মোতায়েন ছিলো। জম্মু-কাশ্মীরকে এই গ্রহের সবচেয়ে সামরিকীকরণ করা এলাকা বিবেচনা করা হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন বলে গত শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ