প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দুঃস্থ ও অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে শিল্পী ঐক্যজোট নামে একটি মানবিক সংগঠন গড়ে তোলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডি এ তায়েব। অনেকটা নীরবে অসহায় ও দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে গিয়ে এই তারকা অভিনেতা দাঁড়ান। ইতোমধ্যে তার গড়া সংগঠন অনেক শিল্পীদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি শিল্পীদের কার কি অবস্থা, কীভাবে দিন কাটাচ্ছে-এসব খবর নিয়মিত রাখছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনের উদ্যোগে চার শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী ও বাদশা বুলবুলের বোন গায়িকা পলি সায়ন্তনী। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত পলি সায়ন্তনী অর্থ সংকটে যথাযথভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। বিষয়টি ডি এ তায়েব জানার পর তার সংগঠনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাতে সাড়া দিয়ে পলি সায়ন্তনীকে ডেকে নিয়ে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেন। পলি সায়ন্তনী জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে যান তিনি। সেখানে তার হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় পলির সঙ্গে ছিলেন তার বড় বোন ডলি সায়ন্তনীও। এই অনুদান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে মমতাময়ী বলে সম্মান জানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব ও সাধারণ স¤পাদক জি এম সৈকতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পলি বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মানবেতর জীবন চলছে আমার। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমার অবস্থার কথা জেনে অনেকেই পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার ¯েœহের পরশ রাখলেন আমার মাথায়। আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই শিল্পী ঐক্যজোটকেও। শিল্পীদের জন্য মানবিক যে পথচলা তাদের সেটা চিরকাল যেন বেগবান থাকে। পলি সায়ন্তনী ছাড়াও গতকাল গণভবনে আরও তিন অসুস্থ শিল্পীকে চিকিৎসার জন্য অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত দুই মেকাপ আর্টিস্ট কাজী হারুন ও আব্দুর রহমান এবং অভিনেতা মহিউদ্দিন বাহার। তাদের প্রত্যেককেই ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। চার শিল্পীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, আমরা শিল্পীরা একই পরিবারের সদস্য। পরিবারের সদস্যের সুখ-দুঃখ দেখার দায়িত্ব প্রত্যেক সদস্যর। আমি চেষ্টা করি, প্রত্যেক সদস্যর খোঁজ-খবর নেয়ার। সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়ে অন্তত সান্ত¦না দেয়ার চেষ্টা করি। আমি ও আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজটি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক শিল্পী যদি প্রত্যেকের পাশে দাঁড়াই এবং খোঁজ-খবর রাখি তাহলে কেউই অসহায় ও দুঃস্থ থাকবে না। এটা শুধু শিল্পীর প্রতি শিল্পীর দায়বোধ নয়, মায়া-মমতা ও মানবিকতারও বিষয়। আমি মনে করি, শিল্প এবং এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংগঠনগুলোরও মানবিক এ কাজে এগিয়ে আসা উচিত। পারস্পরিক এ সহযোগিতা যদি আমরা করি, তাহলে কোনো শিল্পীকেই আর অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে হবে না। আমি ও আমার সংগঠন যতদিন থাকবে, ততদিন এ কাজ করে যাব। সংগঠনটির সাধারণ স¤পাদক জি এম সৈকত বলেন, আমাদের সৌভাগ্য একজন মমতাময়ী, সংস্কৃতি ও শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। মানুষ ও মানবতার মূল্য তার কাছে সবার আগে। আমরা শিল্পী সমাজ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাই শিল্পী ঐক্যজোটের আবেদনের প্রেক্ষিতে চার শিল্পীকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।