Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরী শিক্ষার্থীরা এখন ঘরেই পড়াশোনা করছে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৬ পিএম

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্কুলগুলো খুলে দেয়া হলেও নিরাপত্তার অভাবে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাচ্ছেন না।

শ্রীনগরের হজরতবালে নিজের বাড়িতে অন্তত শদুয়েক ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো শুরু করেছেন মুনাজা ইমরান বাট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
আগস্টের মাঝামাঝি স্কুল খুললেও দফায় দফায় কারফিউতে উপত্যকার অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই হাজির হতে পারছে না। ফলে মুনাজার মতো প্রাইভেট শিক্ষকদের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই অভিভাবকদের।

মুনাজা বলেন, আমি আগে থেকেই চাচাতো ভাইবোনদের পড়াতাম। গত কয়েক দিন ধরে বহু অভিভাবক এসে অনুরোধ করছেন তাদের এলাকায় গিয়ে পড়ানোর জন্য।
আসলে পরীক্ষার সময় হয়ে গেলেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না বাবা-মায়েরা।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরও উত্তাল হয়েছিল উপত্যকা। সেই সময়ে লাগাতার অশান্তি ও কারফিউর জেরে প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ।

মুনাজা জানিয়েছেন, তখনও এভাবে রমরমা শুরু হয়েছিল প্রাইভেট শিক্ষকদের। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ স্কুলের পরীক্ষা শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
তাই অনেক দিন স্কুল বন্ধ থাকলেও ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় বসতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রাখছেন তারা। এ বছরে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার ফরম দেয়া হয়নি কাশ্মীরের কোনো স্কুলে। পরীক্ষা ছাড়াই সরকার সব ছাত্রছাত্রীকে পরের ক্লাসে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এর আগেও ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ সালে একইভাবে পরীক্ষা না নিয়ে পরের ক্লাসে তুলে দেয়া হয় সব শিক্ষার্থীকে।

নওগাঁমের বাসিন্দা আসিফা জানান, গত মাস থেকেই বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াচ্ছেন তিনি। তার মতে, স্কুলে না যাওয়ার যে ক্ষতি, তা অনেকটাই সামলানো যাবে এতে। ওই গৃহবধূর বক্তব্য, ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে স্কুল কেন বন্ধ হয়ে গেল, তা বোঝানো যাচ্ছে না ছোটদের।

তিনি বলেন, আমি নিজের বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করতেই আত্মীয়, প্রতিবেশীরা তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাতে শুরু করেছেন। যদিও এভাবে স্কুলের অভাব মেটানো সম্ভব নয়, তবে দিনের কিছুটা সময়ে ওদের ব্যস্ত রাখা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ