বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়াকে (২৩) নিজ গ্রামবাসীরা মারধর করেছে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্যক্ত করার প্রতিবাদে। বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক সপ্তাহ আগে ছাত্রলীগ নেতা সুমন ও তার সহযোগীরা ছাত্রীর ভাই শওকত খানকে উপজেলা সদরে প্রহার করেছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা উত্যক্তকারী ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেছে।
স্কুলছাত্রীর ভাই শওকত অভিযোগ করে বলেন, তার বোন কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুলে আসা ও যাওয়ার পথে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া ও তার সহযোগীরা উত্যক্ত করে। এজন্য তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। ফলে গত সপ্তাহে উপজেলা সদরের আতিক মেকানিকের দোকানের সামনে পেয়ে সুমন ও তার সহযোগী মঈন উদ্দীন তাকে প্রহার করেছিল। এজন্য মঙ্গলবার সকালে বনগাঁও গ্রামে সুমনকে ডেকে গ্রামবাসীরা শওকতকে কেন প্রহার করছে সে সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে সুমন গ্রামবাসীর সাথে উত্যপ্ত বাক্য বিনিময় করলে গ্রামবাসীরা তাকে মারধর করে। জবাবে ঘণ্টাখানেক পর সুমনের সহযোগীরা তার (শওকতের) দুই আত্মীয়কে প্রহার করেছে।
গ্রামবাসীর হাতে মারধর ও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে কয়েক দফা তার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও সুমন মিয়ার ফোন বন্ধ পাওযা যায়। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব মুঠোফোনে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শওকতের নেতৃত্বে গ্রামের কিছু লোক সুমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। তাছাড়া সুমনের উপর অন্য অভিযোগ সঠিক নয় বলেও উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক জানান।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।