পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্র ভর্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। উত্থাপিত অভিযোগের ফলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আস্থার সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে উল্লেখ করে এর মোকাবিলার জন্য সৎ-সাহসের সাথে অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো।
গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক হলে তা হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। উত্থাপিত অভিযোগ বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ তথা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সকল প্রত্যাশার জন্য অশনি সংকেত।’ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্বের অবস্থাকে রাজনৈতিক বা অন্যকোন সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত করার যে কোন প্রয়াসকে কর্তৃপক্ষ প্রতিহত করবেন এমন প্রত্যাশা করে বলেন, ‘অন্যথায় গুণগত শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে যুগোপযোগী বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যুব সমাজের যে স্বপ্ন তা ধূলিস্যাৎ হবে।’
এদিকে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৃথক কর্মসূচি থেকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো ভিসি, ডিনের পদত্যাগসহ ডাকসুর উপ-নির্বাচন দাবি করেন। এদিন দুপুর সোয়া বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শিববাড়ী মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে ঢাবি ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করা হয়। এছাড়া, ভর্তিকৃতদের ডাকসুর সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি এবং বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়।
একই দাবিতে দুপুর একটায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তাদের দাবির মধ্যে আরো ছিলো, অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া ৩৪ ছাত্রকে অছাত্র ঘোষণা করা এবং অবৈধ ছাত্রত্ব নিয়ে যারা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পদশূন্য ঘোষণা করে সেসব পদে উপ-নির্বাচন দেয়া।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সঞ্জীব চত্বরে একটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। তাদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষা ছাড়া চিরকুটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন এবং রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত হল প্রভোস্ট জিনাত হুদার পদত্যাগ, পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া আট ডাকসু নেতার পদত্যাগ করা। এছাড়া রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত হলো সংসদের ভিপি ইশরাত জাহান তন্বী ও জিএস সায়মা আক্তার প্রমির পদত্যাগ করা এবং পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া আট ডাকসু নেতা ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত মোট দশ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।