মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন আগেই। এ বার বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন উত্তরপ্রদেশের সেই আইনের ছাত্রী। তার অভিযোগ, টানা এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইলও করেছেন।
গত মাসের শেষ দিকে ফেসবুক ভিডিওতে প্রথম স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের এসএস ল’কলেজ-এর ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী। সন্ত সমাজের প্রভাবশালী নেতা চিন্ময়ানন্দ তার মতো বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তার পর দু’সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত চিন্ময়ানন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও দায়ের হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের জবানবন্দী রেকর্ড করেন ওই তরুণী। তাতে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন তিনি। ১২ পাতার অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, গত বছর জুনে ৭৩ বছরের চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে আলাপ হয় তার। শাহজানপুরের এসএস ‘কলেজ-এর ডিরেক্টর চিন্ময়ানন্দ তাকে কলেজে ভর্তি হতে সাহায্য করেন। যেচে ফোন নম্বর চেয়ে নেন। পারিবারিক দুরবস্থার কথা জানতে পেরে কলেজের লাইব্রেরিতে পাঁচ হাজার টাকার চাকরিও পাইয়ে দেন। এর পরেই তার উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তার দাবি, অক্টোবর মাসে তাকে কলেজের হস্টেলে থাকার নির্দেশ দেন চিন্ময়ানন্দ। নিজের আশ্রমেও তাকে ডেকে পাঠান। সেখানে পৌঁছলে হস্টেলের বাথরুমে তার গোসল করার একটি ভিডিও রেকর্ডিং দেখান। হস্টেলের বাথরুমের ভিডিও তার কাছে কী ভাবে এল, তা যদিও খোলসা করেননি চিন্ময়ানন্দ। তবে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
ধর্ষণ করার সময়ও চিন্ময়ানন্দ ভিডিও রেকর্ড করেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। তার দাবি, সেই ভিডিও দেখিয়েই পরবর্তী কালে একাধিক বার তাকে ব্ল্যাকমেইল এবং ধর্ষণ করেন চিন্ময়ানন্দ। মাঝে মধ্যে বডি মাসাজ করতেও চিন্ময়ানন্দ তাকে ডেকে পাঠাতেন। রাজি না হলে, লোক পাঠিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে যেতে বাধ্য করা হত। দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবেই চলছিল। উপায় না দেখে শেষমেশ গোপনে চিন্ময়ানন্দেরই ভিডিও রেকর্ড করেন ওই তরুণী। প্রমাণ হিসাবে সেগুলি জড়ো করতে শুরু করেন তিনি। তার পর গত মাসে ফেসবুকে ওই ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণ সামনে আনতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) ইতিমধ্যেই টানা ১৫ ঘণ্টা ধরে ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্তকারী অফিসারদের ওই তরুণী সেই ভিডিও দেখিয়েছেন বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে, মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সময়, গোটা ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। উন্নাও কাণ্ডের অভিযুক্ত কুলদীপ সিংহের মতো তাকেও ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি তার। নির্যাতিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার আইনজীবী ওম সিংহও। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।