মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তবে আত্মহত্যা বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে দেশটির গ্রামীণ অঞ্চলগুলো। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জামা নেটওয়ার্ক ওপেনের প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মার্কিনিদের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ শতাংশ। আর দেশটির প্রধান প্রধান মেট্রোপলিটন শহরগুলোর চেয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বসবাসকারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
গবেষক দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিক্যাল সেন্টারের ফেলো ড্যানিয়েল স্টিলস্মিথ বলেন, দারিদ্র, নিম্নআয় ও বেকারত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জরিপে দেখা গেছে, শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামীণ এলাকায় আত্মহত্যার পরিমাণ বেশি। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে দারিদ্র, নিম্ন আয় এবং বেকারত্ব পরিস্থিতি সত্যিই হতাশাজনক।
জরিপে দেখা গেছে, একাকী বসবাসরত ব্যক্তি, অবিবাহিত এবং প্রবীণ ব্যক্তিরা বেশি আত্মহত্যা করেছেন। এর পেছনে সামাজিক ভঙ্গুর অবস্থাকে দায়ী করা হয়েছে। গ্রামীণ কাউন্টিগুলোতে এসব উপাদান সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
গবেষকরা বলছেন, সব কাউন্টিতেই বন্দুকের দোকানের অধিক উপস্থিতিও আত্মহত্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার চিত্র জানার জন্য স্টিলস্মিথ ও তার সহযোগীরা দেশটির জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনার (এনভিএসএস) কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এনভিএসএস দেশটিতে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান, বাৎসরিক আত্মহত্যার হার, লিঙ্গ, বয়স ও আত্মহত্যাকারীদের বাসস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে।
জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭ জন আত্মহত্যা করেছেন; যাদের বয়স ২৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। জরিপের শেষ তিন বছরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮২ জন।
সূত্র : এনবিসি নিউজ।