নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারও পারলেন না সেরেনা উইলিয়ামস। নারী এককে মার্গারেট কোর্টের সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার পথে দুর্দান্ত ভাবেই এগুচ্ছিলেন আমেরিকান টেনিস কিংবদন্তি। কিন্তু ফাইনালে তাকে থামিয়ে দিলেন এমন এক নবাগত যার জন্ম ১৯৯৯ সালে ফ্লাশিং মিডোয় সেরেনার প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়েরও নয় মাস পরে!
গতকাল নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে অবিশ্বাস্য সেই কীর্তি গড়েছেন কানাডিয়ান টিনএজার বিয়াঙ্কা আন্দ্রেয়েস্কো। ৩৭ বছর বয়সী সেরেনাকে ৬-৩ ৭-৫ গেমে হারিয়ে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছেন ১৯ বছর বয়সী। যা তার প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ইউএস ওপেনের মূল পর্বেও খেলা তার এই প্রথম। গত বছর বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়া আন্দ্রেয়েস্কোই এবার প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে জিতলেন একক কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা।
প্রথম সেটে সেরেনাকে একেবারেই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। পরের সেটেও ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান কানাডিয়ান ১৫তম বাছাই। এরপর সমর্থকদের মধ্যে সেরেনা আশার সঞ্চার করেছিলেন অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর। টানা চার সেট জিতে ৫-৫ টাইও করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি প্রতিযোগিতার ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন।
পুরো ম্যাচেই আট নম্বর এই বাছাইকে লড়তে হয়েছে নিজের সেরা ফর্মের সঙ্গে। প্রথম সার্ভ ভালোমত করতে পেরেছেন মাত্র ৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় সার্ভে সফলতা ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। আটবার পড়েন ডাবল ফলটের জালে। ফাইনালের আগ পর্যন্ত ছয় ম্যাচে যার সার্ভ ব্রেক হয়েছিল তিন বার, ফাইনালে সেই সেরেনার সার্ভ দুই সেটে ছয় বার ব্রেক করেন আন্দ্রেয়েস্কো। আন্দ্রেয়েস্কোর কাছে পুরো ব্যাপারটাই লাগছে স্বপ্নের মত, ‘এ বছররটা আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত।’ ‘এই মুহূর্তটার জন্য আমি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি।’
২০০৬ সালে মারিয়া শারাপোভার পর প্রথম টিনএজার হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ফ্লাশিং মিডোর নতুন রানি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সত্যিই ধন্য ও কৃতজ্ঞ। এই মুহূর্তটার জন্য আমি আসলেই অনেক পরিশ্রম করেছি। সেরেনার বিপক্ষে এই পর্যায়ে এসে খেলা বিষ্ময়কর, যে কিনা এই খেলার একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি।’
হারলেও আন্দ্রেয়েস্কোকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি সেরেনা, ‘বিয়াঙ্কা অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ খেলেছে। তোমার জন্য আমি খুশি এবং অনেক গর্ববোধ করছি।’
এ নিয়ে টানা চারটি গ্র্যন্ড স্ল্যাম ফাইনালে হারলেন সেরেনা। নিজের প্রথম সন্তান প্রসবের ১০ মাস পর ওঠেছিলেন উইম্বলডনের ফাইনালে। এরপর গত ইএস এস ওপেনের ফাইনাল। দুইবারই তার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য খেলেন যথাক্রমে অ্যাঞ্জেলিক কেরবার ও নওমি ওসাকা। চলতি উইম্বলডনের ফাইনালেও দুর্দান্ত খেলে সেরেনার অপেক্ষা বাড়ান সিমোনা হালেপ। এবার টেনিস কিংবদন্তির স্বপ্ন চূর হলো অখ্যত এক টিনএজারের কাছে।
চারটি ম্যাচের মধ্যেই ছিল অবিশ্বাস্য একটা মিল। আগের রাউন্ডগুলোতে তিনি যেভাবে খেলেছেন, ফাইনালে সেই খেলাটি দেখাতে পারেননি সেরেনা। এর আসল রহস্যে উন্মচন করেছেন সম্ভবত ২০১৩ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ও উইলিয়ামসের কাছের বন্ধু মারিয়ন বার্তোলি। তার মতে, ফাইনালে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেন সেরেনা, ‘সে মনে করে, তাকে এটা জিততেই হবে। এবং তাকে ২৪, এরপর ২৫তম (গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা) জয় করতেই হবে।’
কোর্টকে স্পর্শ করার পরবর্তি সুযোগ সেরেনা পাবেন আসছে জানুয়ারিতে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।