মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে চাকরি হারানোর ভয়ে থাকা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, অন্তত এখনকার মতো চাঁদ ভুলে রুজি-রুটিতে মন দেয়া উচিত দেশটির সরকারের। অর্থনীতির দুর্দশা কাটাতে না পারলে সামনে ভয়াবহ অন্ধকার। তাই দ্রুত বিষয়টিতে মন দিতে হবে।
বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতের অর্থনীতিতে বড় সঙ্কট চলছে। এটি মন্দায় রূপ নিতে পারে যে কোনো সময়। এর মধ্যে বিশাল বাজেটে চন্দ্রাভিযান করা নিয়েও কথা তুলেছেন অনেকে।
লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটকের কথায়, ‘অর্থনীতির হোঁচট খাওয়ার বিবর্ণ ছবি ফুটে উঠেছে সব ক্ষেত্রেই। গাড়ি বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে সেটিই শুধু নয়, কম দামের বিস্কুটের বেচাকেনাও কমেছে অনেক গুণ। এই অবস্থায় সবার আগে অর্থনীতির সঙ্কট কাটানোতেই মনোযোগ উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আইএসআই-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক অভিরূপ সরকারের প্রশ্ন, ‘বিজ্ঞান, গবেষণায় সরকারি উৎসাহকে অবশ্যই স্বাগত জানাই; কিন্তু চাঁদের মাটিতে যন্ত্রের চাকা গড়ানোর আগে সকলের খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থা করা জরুরি নয় কি? ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো বহু দেশ তো বিজ্ঞানে উন্নত। তা হলে তারা চাঁদের দিকে হাত বাড়ায়নি কেন?’
যেখানে অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কা, চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ, সেখানে আগে তাতে নজর না দিয়ে দেশের নজর চাঁদে নিবদ্ধ করার চেষ্টা তার মতে ‘লোকদেখানো’।
আইআইএম-কলকাতার অর্থনীতির প্রাক্তন অধ্যাপক অনুপ কুমার সিন্হার মতেও, ‘চাহিদা তলানিতে। অর্থনীতি ধুঁকছে। সঙ্কটে আমজনতার রুজি-রুটি। অথচ সরকারের ভাবখানা এমন যেন, এতে নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। নিজে থেকে সঙ্কট মেটাবে বাজারই।’ শিল্প থেকে শুরু করে কারখানার কর্মী সকলের সমস্যার এই সময়ে অর্থনীতির মেরামত নরেন্দ্র মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনিও।
এআইটিইউসি-র ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি অনিল পানোয়ার বলছেন, ‘শুধু গুরুগ্রামে এক চক্কর ঘুরে আসুন। ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন গাড়ি শিল্পের অন্তত ৫০ হাজার কর্মী। প্রতিদিন সেখানে চাকরি চলে যাচ্ছে অনেকের। অতি সম্প্রতি এক যন্ত্রাংশ কারখানায় চাকরি গেছে ১২-১৮ বছরের পুরনো ৩০০ কর্মীর। উৎপাদন বন্ধ রাখছে মারুতির মতো কোম্পানি। অথচ সরকার সমস্যার কথা মানতেই রাজি নয়! চাঁদ দেখে তো আর পেট ভরে না।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।