Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, তাই নজর ঘোরাতে চন্দ্রযান’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:৩৩ পিএম

আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই চাঁদ ছোঁবে চন্দ্রযান-২। ভারত তো বটেই, গোটা দুনিয়া তাকিয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের দিকে। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি বলে দিলেন, এ সব করা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সংকট থেকে নজর ঘোরাতেই। যার মোদ্দা কথা এই, দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে জনতার নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, ‘যেন এই প্রথম চন্দ্রযান গেল! যেন ওরা (পড়ুন বিজেপি) সরকারে আসার আগে এ রকম মিশন হয়ইনি! দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব করা হচ্ছে। ৫০ বছর ধরে এই গবেষণা চলছে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতে এখন আমাদের চন্দ্র দেখাচ্ছে। বিজেপি নেতারা যাক, চাঁদে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুক। মাল্টি স্টোরিড করুক।’

গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনশো কিলোমিটার দূরের একটি অকেজো উপগ্রহকে ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে ভারতের উপগ্রহ ধ্বংসকারী মিসাইল ‘মিশন শক্তি।’ ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল সকাল এগারোটায়। কিন্তু তিনি বক্তৃতা দিয়েছিলেন বেলা সওয়া বারোটায়। সেই সময়েও মমতা এই মিশন শক্তির সফলতার কথা না বলে বলেছিলেন, ‘আমি তো ভাবলাম কী না কী বলবে! গব্বর বক্তৃতা দিতে আসছে শুনলেই আমার মনে হয় ওরে বাবারে! এই বোধহয় আবার টাকা নিয়ে নেবে।’

মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের এক সৌর পদার্থ বিজ্ঞানী বলেন, ‘চন্দ্রযান-২-এর চাঁদ ছোঁয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। সব ঠিক থাকলে দু’বছর আগেই উৎক্ষেপন হতো চন্দ্রযানের। এর সঙ্গে রাজনীতি অর্থনীতির কোনও যোগ নেই। এটা বিজ্ঞানের একটা সাফল্য।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ