মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাখাইনে রোহিঙ্গা নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচারের যে ঘোষণা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি জানায়, এই ঘোষণায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং ইস্যুটি থেকে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের নজর সরাতেই এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে সংস্থাটি। এমনকি বিচার করা হলেও তা সবার অগোচরে করা হবে, যাতে করে প্রকৃত দোষীরা ক্ষমা পেয়ে যাবে বলেও দাবি করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এর আগে, রোববার রোহিঙ্গা নিধনের সঙ্গে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচারের ঘোষণা দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখের বেশি মানুষ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাখাইনের গু দার পিয়ান গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান দেয় মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি। বার্তা সংস্থাটি জানায়, সেনা সদস্য ও বৌদ্ধ গ্রামবাসীরা বন্দুক, ছুরি, রকেট লাঞ্চার ও গ্রেনেড নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়। পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা জানান, এই ঘটনায় কয়েক শ মানুষকে হত্যা করা হয়। পরে লাশগুলো গণকবরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার মিয়ানমার সরকার জানায়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণকবর উদঘাটনের ঘটনায় সেনা সদস্যদের বিচার করতে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে রাখাইনের গু দার পিয়ান গ্রামে ‘নির্দেশনা অনুসরণে দুর্বলতা’ ছিল সেনা সদস্যদের। জানানো হয়, সামরিক বিচার ব্যবস্থার অধীনে এসব সেনা সদস্যদের কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হবে। তবে কতজন সেনা সদস্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে বা কবে এই কোর্ট মার্শাল অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। নিধনের পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সেনাবাহিনীকে দায়ী করে আসলেও মিয়ানমার সরকার স্বীকার করেনি। সর্বশেষ শনিবার তারা কোর্ট মার্শালের ঘোষণা দিলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি জানায়, এই ঘোষণায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আচরণের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, আমরা যেই হত্যাযজ্ঞের কথা বলছি সেটার সাপেক্ষে সেনাবাহিনীর কোর্ট মার্শালের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট নয়। এটা আন্তর্জাতিক নজর সরাতে নতুন এক খেলা। এতে প্রকৃত দোষীদের বিচার না করে কাউকে বলির পাঠা বানানো হবে। ফিল আরও বলেন, আপনি সেনা সদস্যদের দেখেই বলতে পারবেন তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। গোপনে কোর্ট মার্শাল করা হবে যাতে করে জনগণ বা মিডিয়া কিছু জানতে না পারে। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আলাদা এক ঘটনায় দশ রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে হত্যায় সেনা সদস্যরা সহযোগিতা করেছে বলে স্বীকার করে মিয়ানমার। এই ঘটনায় চার কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যকে দশ বছরের সশ্রম কারাদÐ দেওয়া হয়। তবে এবছরের মে মাসে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরা এখন আর আটক নেই। ওই ঘটনা উদঘাটনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্গনের দায়ে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক যত সময় কারাভোগ করেছেন এই সেনা সদস্যরা তত সময়ও কারাভোগ করেনি। পাঁচশো দিনেরও বেশি সময় কারাভোগের পর এই বছরের শুরুর দিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পান রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।