মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র দেশ জুড়ে ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালন করল পাকিস্তানিরা। কাশ্মীরীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালন করা হয় দেশটিতে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীও ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালন করেছেন। ওই সময় ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে লাল বাতি জ্বলেছে। পাকিস্তানজুড়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ছোট-বড় র্যালি করে কাশ্মীরিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের অনেক নেতাও ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালন করেন। সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল, বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জ্যাম কামাল খান আলইয়ানি, খায়বার পাখতুংখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার ওই ইভেন্টে অংশ নেন।
পাকিস্তান ও আজাদ জম্বু ও কাশ্মীরের জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিন হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারি কার্যালয়ের বাইরে ভিড় জমান। ওই সময় ইমরান খানের কাছের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের পাশাপাশি আজাদ কাশ্মীরেও ওই ইভেন্ট পালন করা হয়।
ইমরান খান তার কার্যালয়ের বাইরে জমায়েত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আজ পাকিস্তানের ছাত্র-শিক্ষক কিংবা দোকানের কর্মচারী থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বাইরে বের হয়ে এসেছে। আমরা সবাই এসেছি আমাদের কাশ্মীরিদের সমর্থনে। আমাদের কাশ্মীরিরা একেবারে কঠিন সময় পার করছে।’ তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতাদর্শ ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেভাবে নাজি পার্টি জার্মানিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। আমি মনে করি সেখানে মুসলমানরা একটি শিক্ষা পেয়েছে, তারা সমান অধিকারের নাগরিক নয়। আজকে সারাবিশ্ব দেখছে যে, কাশ্মীরে কী ঘটছে।
ইমরান খান বলেন, ‘আমি সারাবিশ্বের কাছে জানিয়ে দিয়েছি যে, আজকে যদি ভারতের ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকান্ডের ব্যাপারে বিদেশি নেতারা কথা না বলে; তাহলে তার প্রভাব সারাবিশ্বে পড়বে।’ তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার যদি আজাদ কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করে, তাহলে প্রতিটি ইটের বদলে পাটকেল খেতে হবে। মিডিয়ার কথা তো বাদ, ভারত সরকার তাদের বিরোধীদলের নেতাদেরই শ্রীনগরে যেতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষের কাছ থেকে আজকের বার্তা হলো, কাশ্মীরের মানুষজন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের মানুষ তাদের পাশে আছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে, আমার জীবদ্দশায় একটি স্বাধীন কাশ্মীর যেন দেখতে পারি; যেখানে তাদের অধিকার হরণ করা হবে না, তাদের নারীরা ধর্ষণের শিকার হবে না এবং তাদের মানুষ শহীদ হবে না।’
গত সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান ঘোষণা করেছিলেন যে কাশ্মীরি জনগণের সাথে সংহতি জানাতে ৩০ আগস্ট থেকে শুরু করে প্রতি সপ্তাহেই এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। রেল মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছিল, এই সময় সমস্ত ট্রেন এক মিনিটের জন্য থামতে হবে এবং সমস্ত রেল কর্মীদের ‘কাশ্মীর আওয়ার’ ইভেন্টে অংশ নিতে হবে।
গত বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর বলেন, চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ প্রতিরক্ষা দিবসের প্রাক্কালে কাশ্মীরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
উল্লেখ্য, হিন্দু-জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন ‘এনডিআর’ সরকার গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যার ফলে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায়। গত ২৭ দিন ধরে সরকার বিক্ষোভ এড়ানোর জন্য পুরো উপত্যকা অবরুদ্ধ এবং সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।