মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমশ। বসে নেই দেশ দুটির গণমাধ্যমও। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের গণমাধ্যমই প্রকাশ করছে নানা প্রতিবেদন।
ভারতের গণমাধ্যমে আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র মজুত প্রসঙ্গে। এতে বলা হয়েছে, অন্তত ৯টি গোপনা জায়গায় পরমাণু অস্ত্র মজুত করছে পাকিস্তান। আর ক্রমশ বাড়াচ্ছে অস্ত্রের পরিমাণ। সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক এই তথ্য সামনে এনেছেন। অন্তত ১৩০ থেকে ১৪০টি ওয়ারহেড রয়েছে বলে আনুমান তাঁদের।
এই ৯টি জায়গার মধ্যে চারটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাছে, তিনটি সিন্ধু প্রদেশের কাছে ও একটি বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার আশপাশে। ফেডারশন অব আমেরিকান সায়েন্টস্ট'-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইসলামাবাদ কেবল পরিমাণে বেশি অস্ত্রই মজুত করছে না, অস্ত্রের গুণগত মানও বাড়াচ্ছে। যদিও জায়গাগুলো একেবারে নিখুঁতভাবে খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না গবেষকদের পক্ষে।
যে ৯টি জায়গার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: আকরো গ্যারিসন: (সিন্ধু প্রদেশ) সম্ভবত এখানে মাটির তলায় রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। গুজরানওয়ালা গ্যারিস: (পঞ্জাব) এক প্রত্যন্ত জায়গায় মজুত রয়েছে অস্ত্র। খুজদার গ্যারিসন: (বেলুচিস্তান)- সম্ভবত এখানে মাটির তলায় রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। উমাসরুর ডিপো: (করাচি)- মিরজ বিমান থেকে নিক্ষেপ করার মতো বোমা মজুত আছে বলে অনুমান। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স: (পঞ্জাব) লঞ্চার ও ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা। পানো আকিল গ্যারিসন: (সিন্ধ)- এক প্রত্যন্ত জায়গায় মজুত আছে অস্ত্র। সরগোড়া ডিপো: (পঞ্জাব)- এফ-১৬ বিমান থেকে নিক্ষেপ করার অস্ত্র আছে এখানে। তারবালা ডিপো: (খাইবার পাখতুনখাওয়া)- মজুত আছে ওয়ারহেড ওয়ার অর্ডিন্যান্স ফেসিলিটি (পঞ্জাব)- সম্ভবত এখানে তৈরি হয় ওয়ারহেড।
স্যাটেলাইট ইমেজ, বিভিন্ন গবেষণার তথ্য ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ওপর ভিত্তি করেন এই তালিকা তৈরি করেছে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা।
কয়েকদিন আগেই পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, 'যদি কাশ্মীর দ্বন্দ্ব যুদ্ধে দিকে যায়, তাহলে মনে রাখতে হবে দুই দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র আছে। আর পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না।'
নিজেকে 'কাশ্মীরি দূত' বলে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণকেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারা বিশ্বে কাজ করব। বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।