মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতি যেন নেশার মতো ছিল তার। শেষমেশ এই গতিই প্রাণ কেড়ে নিল তার। নতুন রেকর্ড গড়তে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হলেন ‘পৃথিবীর দ্রুততম নারী’ হিসেবে পরিচিত, মার্কিন কার রেসার জেসি কম্বস। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই মৃত্যু হলো তার।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব অরেগনে নিজের জেট চালিত গাড়িটি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান জেসি কম্বস। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। জানা গেছে, ২০১৩ সালে ঘণ্টায় ৩৯৮ মাইল পার করার রেকর্ড ছিল জেসির। এর পরে ২০১৬ সালে এই অরেগনে-তেই তিনি নিজেই নিজর রেকর্ড ভাঙেন ঘণ্টায় ৪৭৮ মাইল পার করে। কিন্তু ১৯৭৬ সালে, এক ঘণ্টায় ৫১৩ মাইল পাড়ি দিয়ে মহিলা কার রেসার হিসেবে সর্বোচ্চ রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন কিটি ওনিল। এই রেকর্ডই ভাঙতে চেয়েছিলেন কম্বস। হতে চেয়েছিলেন সত্যিকারের দ্রুততম মহিলা। কিন্তু তার আগেই রেসিং ট্র্যাকই কেড়ে নিল তার জীবন।
জেসির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সব সময় হাসিখুশি স্বভাবের জন্য সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর ইতিবাচক ভাবনাচিন্তা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল। নর্থ আমেরিকার ঈগল সুপারসনিক স্পিড চ্যালেঞ্জার টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে কার রেসার হিসেবে সাফল্য অর্জন করে, বিশ্বের দ্রুততম নারী হিসেবে বিখ্যাত হয়েছিলেন তিনি।
জেসি কম্বের দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুধু খেতাব অর্জন করেই সন্তুষ্ট ছিলেন না জেসি। তিনি ওনিলের রেকর্ড ব্রেক করে সত্যিই দ্রুততম মহিলা হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল সব কিছু। মৃত বন্ধুর প্রতি শোক ও ভালোবাসা জানিয়েছেন বন্ধুরা। তারা জানিয়েছেন, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরে সব রকম চেষ্টা করা হয়েছিল জেসিকে বাঁচানোর। কিন্তু চোট এত ভয়াবহ ছিল, যে তা সম্ভব হয়নি শেষমেশ।
মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ অরেগনের পুলিশের কাছে একটি জরুরি ফোন কলে জানানো হয় দুর্ঘটনার কথা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ আবিষ্কার করে, দুর্ঘটনা ঘটেছে একটি রেসিং কারে, আর তাতেই মারা গেছেন জেসি।
জেসির এই মৃত্যু যেন রেস-দুনিয়ার অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে, ১৯৯৪ সালের কথা। এ ভাবেই গতির শিকার হয়েছিলেন কার রেসার আয়ার্টন সেনা। তিনি অবশ্য ফর্মুলা ওয়ানের ট্র্যাকে ছিলেন তখন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কংক্রিটের একটি দেওয়ালে ধাক্কা মেরে চিরকালের মত স্তব্ধ হয়ে যান ব্রাজ়িলিয়ান রেসার আয়ার্টন। তার মৃত্যুতে জাতীয় শোক পালন করেছিল ব্রাজ়িল।
ট্র্যাকেই শুধু নয়, টেলিভিশনেরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন জেসি। ‘ওভারহলিন’, ‘অল গার্লস গ্যারেজ’ ও ‘মিথ বাস্টার’ শো-তে বহু দিন ধরে অংশ নিয়েছেন তিনি। মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন, চেনা ছক ভেঙে বেরিয়ে নিজেদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ইচ্ছেকে সফল করতে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।