মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল কারাম্বির সিং মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন যে, তহবিল ঘাটতির কারণে নৌ শক্তি নিয়ে ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সক্ষমতা উন্নয়নের’ প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে, যে নৌ শক্তিকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আগ্রাসী চীনের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে।
‘ইন্ডিয়ান ওশান - চেঞ্জিং ডায়নামিক্স - ম্যারিটাইম সিকিউরিটি ইম্প্যারাটিভস ফর ইন্ডিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চীনের নৌ শক্তির প্রসারের ওপর ভারতীয় নৌবাহিনী কড়া নজর রাখছে। অ্যাডমিরাল কারাম্বির সিং আরও বলেন, ‘এভাবে পুরো জাতিকে আশ্বস্ত করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যে জাতিটি ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, সেখানে নৌ শক্তির ব্যাপারে আরও মনোযোগ দেয়া দরকার’।
এই বিবৃতির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে, কারণ নৌবাহিনীর জন্য সা¤প্রতিককালে বাজেট কাটছাটের প্রেক্ষিতে তিনি এ বক্তব্য দিলেন। কারণ ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী ২০০টি জাহাজ ও সাবমেরিন তাদের বহরে যুক্ত করতে চায়।
সিং আরো বলেন, ২০১২-১৩ সালে প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল মোট বাজেটের ১৮ শতাংশ, যেটা এখন কমিয়ে ১৩ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। যেটা ভবিষ্যতে বাহিনীর পরিকল্পনা ও সক্ষমতা উন্নয়নের উপর প্রভাব ফেলছে। চলতি বছরের এপ্রিলে নৌ কমান্ডারদের সম্মেলনে নৌবাহিনী ২০২৭ সালের মধ্যে ২০০টি জাহাজ, ৫০০টি বিমান, এবং ২৪টি অ্যাটাক সাবমেরিন অর্জনের বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করে। বর্তমানে নৌবাহিনীর প্রায় ১৩২টি জাহাজ, ২২০টি বিমান এবং ১৫টি সাবমেরিন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদি বাজেট সহায়তা প্রয়োজন, যেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আপনি যদি একটি জাহাজ নির্মাণ করতে চান, তাহলে এর জন্য কিছু বছর সময় লাগবে, আর সে জন্য আমাদের নিশ্চয়তাসহ বাজেট সহায়তা লাগবে’। সিং পুনেতে মিডিয়ার সাথে আলাপকালে বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের কারণে আমাদের ক্রয় পরিকল্পনাতে সংশোধনী আনতে হবে। হ্যাঁ, এটা আমাদের সক্ষমতাকে কিছুটা সীমিত করবে’।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চীনের উপস্থিতি সম্পর্কে তার মন্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের অগ্রগতির উপর আমরা নজর রাখছি’। ‘তারা (চীন) একটা বৈশ্বিক পরাশক্তি হতে চায়, আমরা তাদের উপর নজর রাখছি এবং আমাদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তাটা গুরুত্বপূর্ণ’।
২০১৮ সাল থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধজাহাজ ও নৌ যানগুলো নতুন কৌশলগত পরিকল্পনার অধীনে পরিচালিত করছে যেটা ‘মিশন-বেজড ডেপলয়মেন্ট’ হিসেবে পরিচিত। যেহেতু ভারত আঞ্চলিক পরিসরে প্রাধান্য বিস্তার করতে চায় এবং ক্রমবর্ধমান চীনা নৌবাহিনীর মোকাবেলা করতে চায়, তাই সে বিবেচনা থেকেই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে’। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।