মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে হিংসা উসকে দিয়েছে পাকিস্তান বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার টুইট বার্তায় তিনি জানান, অনেক বিষয়েই সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন এ নেতা। তিনি একেবারে পরিষ্কার জানাতে চান, এই হিংসার পেছনে লাগাতার উসকানি দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। শনিবার শ্রীনগর সফর করতে রাহুল গান্ধীকে বাধা দেওয়া হয় এবং বিমানবন্দর থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এর পরেই জম্মু ও কাশ্মীর পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেন এ কংগ্রেস নেতা। তারপরেই এ টুইটটি উল্লেখযোগ্য বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কয়েক মুহ‚র্তের মধ্যেই কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুর এ মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন, স্পট অন, চিফ! এটিই হল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মূল মতামত। জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ; আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদ্ধতিটির বিরোধীতা করেছি। কারণ যেভাবে এটা হয়েছে তাতে আমরা আমাদের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর অত্যাচার চালিয়েছি। আমাদের অবস্থান থেকে পাকিস্তানের কোনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, সরকারের প্রশংসা করার জন্য এর মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন এ নেতা। শনিবার, রাহুল গান্ধী এবং বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর পরে তিনি বলেছিলেন, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। বিরোধী প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন যে, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন। বিশেষ মর্যাদা শেষ করার এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পরে যে কোনো ঝামেলা থেকে বিরত রাখতে ৪ আগস্ট থেকে এই রাজ্যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা গত ২৫ দিন ধরে গ্রেফতার রয়েছেন। কাশ্মীরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।
কংগ্রেসকে কাশ্মীরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলতে দেখা গেছে। সংসদে থাকাকালীন গোলাম নবি আজাদের মতো প্রবীণ নেতারা এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওড়ার মতো বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা অবশ্য সিদ্ধান্তের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী দৃঢ়ভাবেই কংগ্রেসের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়ে জানান, যেভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং কার্যকর করা হয়েছে দল তার বিরোধিতাই করবে। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।