Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিরোজপুরে বৌদিকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন

পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ৪:১৬ পিএম

পিরোজপুরের মঠববাড়িয়ায় বিধবা বৌদিকে ধর্ষণের দায়ে দেবর বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ তাকে আরো ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছর কারাদন্ড আদেশ দেয় আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা (২৮) মঠবাড়িয়া উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত প্রমাংশু হালদারের পুত্র।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত লক্ষন হাওলাদারের স্ত্রী সাগরিকা রাণী ৬ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুরের ঘরের পূর্ব পাশের বারান্দায় বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু তার আপন ছোট দেবর বাবুল হালদার প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২০১০ সালের ১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বৌদির ঘরে ঢুকে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মেঝ দেবর রামচন্দ্র ও শ^শুড়িকে জানাইলে তারা ধর্ষকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিধবা পুত্রবধূকে বিয়ে করার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। বিয়েতে রাজী হয়ে ধর্ষক বাবুল বিয়ের নামে কৌশলে প্রতারণা করে বৌদিকে কালী মন্দিরে নিয়ে মালা বদল করে গত ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলো। এতে বিধবা বৌদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে । কিন্তু ধর্ষক বাবুল পরে অন্যত্র বিয়ে করে সাগরিকাকে স্ত্রী হিসাবে অস্বীকার করে। পরে নির্যাতিতা ওই বৌদি গত ২০১১ সালের ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ