পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নির্যাতন ও নিষ্পেষণ বিশ্ববাসীকে জানাতে এবং সেখানকার ৮০ লাখ মানুষের সাথে সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহে একদিন ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা সব পাকিস্তানীকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহবান জানান। প্রায় ২৪ মিনিটের ভাষণে কাশ্মীরিদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, বিশ্বের কেউ থাকুক বা না থাকুক আমরা পাকিস্তানিরা আপনাদের সাথে আছি। তিনি আরো বলেন, এক সময় বসনিয়ার গণহত্যা চালানো হয়েছে। গণমাধ্যমে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, জনমত তৈরি হয়েছে এবং সবশেষে গণহত্যা বন্ধ হয়েছে। আমরাও কাশ্মীরে যে নির্যাতন-নিষ্পেষণ চলছে তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছি, অতীতেও তুলে ধরেছি, আমরা আগামীতেও তুলে ধরব। আগামী শুক্রবার ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, এক এক সপ্তাহে একেকটি বিষয়কে নিয়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়াব কাশ্মীরিদের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য।
জাতিসঙ্ঘের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরিদের রক্ষায় সবচেয়ে বড় অবদান রাখার কথা তাদের। কিন্তু জাতিসঙ্ঘ শক্তিশালীদের পক্ষাবলম্বনে ব্যস্ত। আমরা ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘে অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করব। বিশ্বের যেখানেই পাকিস্তানি আছে, সেখানেই তারা কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য কাজ করবে। আমাদের বিদেশে যেবস স্থানে মিশন আছে, সবাই কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।
ইমরান খান বলেন, আমরা এক যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সময় এসেছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের। আমরা বেকারত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য, আবহাওয়া পরিবর্তনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত, একই সমস্যা ভারতেরও। তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছি, আসুন বসে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করি। কিন্তু সব সময় তারা এক এক অজুহাতে এড়িয়ে গেছে এবং আমাদের ওপর নাশকতার অভিযোগ এনেছে। আমরা তার পরও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। বলেছি, আপনার এক পা আগান আমরা দুই পা এগোবো। আফগানিস্তান শান্তির পথে এগিয়ে গেছে। সেখানে সামরিক সমাধানের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রকিয়ায় সমাধানের পথে।
তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে তা কারো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, জিতবে না কেউ। কাজেই সে পথে আমরা যেতে চাই না। আসুন আমরা আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করি। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।