নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন দুই বছর আগে। এরপর থেকে অপেক্ষা কেবল বাড়ছেই। আবারও সেরেনা উইলিয়ামসের সামনে সুযোগ এসেছে নারী বিভাগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়ার।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিসের আসর ইউএস ওপেন। গেল আসরের ফাইনালে নাওমি ওসাকার কাছে হেরে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মারগারেট কোর্টের সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটা স্পর্শ করা হয়নি সেরেনার। এবারও তার সামনে বড় বাধা হতে পারেন জাপানি বংশদ্ভুত এই আমেরিকান তারকা। তার মত শিরোপায় চোখ রেখে আসর শুরু করতে যাচ্ছেন নারী এককের আরেক ফেভারিট রোমানিয়ার সিমোনা হালেপও।
রেকর্ড শিরোপা স্পর্শ করার পথে প্রথম রাউন্ডেই রাশিয়ান টেনিস সুন্দরী মারিয়া শারাপোভার মুখোমুখি হচ্ছেন সেরেনা। শারাপোভার বিপক্ষে সেরেনার রেকর্ড অবশ্য বেশ উজ্জ্বল। ২১ বারের দেখায় ১৯বারই জয় পেয়েছেন সেরেনা। নিউ ইয়র্কের দিকে তাই প্রথম দিনেই বিশেষ নজর থাকবে টেনিস প্রেমীদের। শীর্ষ বাছাই ওসাকাও উচ্ছ¡াসিত এই ম্যাচ নিয়ে, ‘অবশ্যই আমি এই ম্যাচটি দেখবো। আমার মনে হয়, ঐ দিন সবাই তাদের ম্যাচটি দেখতেই কোর্টে যাবে। প্রথম রাউন্ডেই এই ম্যাচ হওয়াতে আমি মোটেও বিস্মিত নই। কারণ প্রতি গ্র্যান্ড স্ল্যামের শুরুতে কিছু নাটক হয়ে থাকে। তাই এই ম্যাচটিও এমন হতে পারে।’
এবারের আসরে অষ্টম বাছাই হিসেবে খেলতে যাচ্ছেন সেরেনা। কোয়ার্টারফাইনালে উঠলে দ্বিতীয় বাছাই অষ্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টির মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর আর কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি সেরেনা। ছয়টি ইউএস ওপেনের সর্বশেষটি জেতের ২০১৪ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা পিসকোভাও। ৩৭ বছর বয়সী সেরেনা বলেন, ‘আমি মনে করি এটি অবশ্যই অর্থবহ। এই মূর্হুতে আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্নভাবে ভাবছি এবং এমনকি লক্ষ্যগুলো আরও বড় করে চিন্তা করার চেষ্টা করছি। আমার জীবনের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এবং অবশ্যই টেনিস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। আমি অনুভব করি, এটিই আমার জীবনে সবচেয়ে বড়।’
গতবার সেরেনাকে হারিয়ে প্রথমবারের মত গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জয় করেন ওসাকা। সরাসরি সেটেই সেরেনাকে হারিয়ে দেন ২১ বছর বয়সী। ইউএস ওপেন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গত আসরে শিরোপা জিতেছেন ওসাকা। তাই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামটিও ঘরে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি, ‘গেল বছর তিন ম্যাচ হেরে আমি এখানে খেলতে এসেছিলাম। তাই আমি শুধুমাত্র একটি ম্যাচ পেতে চেয়েছিলাম। আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। এই বছর আমি পরপর দু’টি কোয়ার্টারফাইনাল খেলেছি এবং তাই নিজেকে নিয়ে আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’
দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে কোর্টে নামবেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টি। ২০১৮ সালের ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড খেলেছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। এই শিরোপাই তাকে সাহস দিচ্ছে ইউএস ওপেনে সাফল্য অর্জনের, ‘এই আসরেও আমি ভালো পারফরমেন্স করতে মুখিয়ে আছি। ফ্রেঞ্চ ওপেনে যেভাবে খেলেছি, এভাবে খেলতে পারলে আবারো শিরোপায় স্পর্শ করতে পারবো।’
তৃতীয় বাছাই হিসেবে এবারের আসরে খেলবেন পিসকোভা। ২০১৬ সালে ফাইনাল খেললেও, শিরোপা জিততে পারেননি। গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপাও তার কাছে এখনও অধরা।
ওদিকে দুই গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হালেপ ইউএস ওপেনে সেমিফাইনালের গন্ডি পার হতে পারেননি। উইম্বলডনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেষ দু’বছর ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেন। তবে গত উইম্বলডনে সেরেনাকে হারানোর ফলে বেশ আত্মবিশ্বাসী হালেপ, ‘গেল দু’বছর প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছি আমি। এর চেয়ে খারাপ কিছুই হতে পারে না। তবে এখন আমি সত্যি ভালো আছি, ভালো অনুভব করছি এবং বেশ সতেজ বোধ করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।