নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের নক আউট পর্বে হোম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার ক্লাব শক্তিশালী ‘এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসি’র বিপক্ষে ভালো কিছু করার লক্ষ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী লিমিটেডে’র। লক্ষ্যপূরণে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটাই মাঠে ঢেলে দেবে তারা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস। যদিও সেরা একাদশ মাঠে নামাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
টুর্নামেন্টের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের এ ম্যাচটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। দু’দলই প্রথম পর্বে নিজ নিজ গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তির ম্যাচে বিজয়ী দলটি উঠবে জোন ফাইনালে।
‘এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসি’র সব খেলোয়াড়ই উত্তর কোরিয়ান সেনাবাহিনীর সদস্য। মেজর পদবির কর্মকর্তাও আছেন এই দলে। তাই বলা যায় কোরিয়ান সেনাদের মোকাবেলায় নামছে আবাহনী। আবাহনীর একাদশে তিন বিদেশী ফুটবলার থাকলেও সফরকারী দলের সবাই কোরিয়ান। তাদের দলে কোনো বিদেশি খেলোয়াড় নেই। সেনা সদস্যদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া জাতীয় দলের ৪ ফুটবলারও আছেন দলটিতে। সব মিলিয়ে আবাহনীর চেয়ে ধারে-ভারে বেশ এগিয়ে ‘এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসি’।
বিপিএলের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এই প্রথম এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটি এবার নিয়ে তৃতীয়বার খেলছে নকআউটে। দু’দলের ফিরতি ম্যাচ উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ে মাঠে গড়াবে আগামী ২৮ আগস্ট।
ঘরের মাঠে এ ম্যাচকে সামনে রেখে গেল ২/৩ দিন আবাহনীকে অতটা ফুরফুরে দেখা যায়নি। কারণ একটাই, আর তা হলো- কোরিয়ানদের বিপক্ষে সেরা একাদশ মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস। দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মন ইনজুরিতে থাকায় একাদশের বাইরে রাখতে হচ্ছে তাকে। আর এএফসি কাপের নকআউট পর্বে আবাহনীকে তোলার অন্যতম নায়ক আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইগানি ভারতে পাড়ি জমানোর কারণে তিনিও নেই দলে। সাইগানির বিকল্প মিশরীয় ডিফেন্ডার ঈসা’কেও কোরিয়ানদের বিপক্ষে পাচ্ছেনা আবাহনী। নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারবেন না ঈসা। এদিকে স্থানীয় তারকা মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ক’দিন আগে অনুশীলনের সময় চোট পেয়ে আগেই ছিটকে পড়েছেন একাদশ থেকে। ফলে সেরা একাদশ নামানো নিয়ে বিপাকেই পড়েছেন আবাহনী কোচ। এতো সমস্যার মধ্যে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মোকাবেলা কিভাবে করবে তার দল? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে আবাহনীর কোচ লেমস বলেন, ‘এটাই ফুটবল। এটাই বাস্তবতা। আপনি কখনো সেরা একাদশ পাবেন, কখনো পাবেন না। এটা মেনেই খেলতে হবে। আর যাদের পাচ্ছি না তারাই তো আমাদের সব না। আমাদের ভালো বিকল্প আছে। আশাকরি যাদের নিয়ে একাদশ গঠন করা হবে, তারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবেন।’
অন্যদিকে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের কোচ ও ইয়ুন সুন বলেন, ‘নকআউট পর্বে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আবাহনীর কিছু ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি আমি। দলটির যে বিদেশি খেলোয়াড় আছে তাদের সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। আশাকরি ম্যাচটি উপভোগ্য হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।