Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরে স্কুল খুলেছে কিন্তু শিক্ষার্থী নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ৫:২১ পিএম

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার কিছু স্কুল খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে এগুলো মূলত সরকারি স্কুল এবং বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধই আছে। যেসব স্কুল খুলেছে তাতে সোমবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। খবর বিবিসি।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে এখনো অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরে দুশোর মতো স্কুল খুলে দিয়েছে তারা। কিন্তু সাংবাদিকরা অনেক স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাননি। অভিভাবকরা বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

ব্যাপক নিরাপত্তা আয়োজন সত্ত্বেও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে এবং প্রায়ই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে।

কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড যার দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত শাসিত অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ মর্যাদা পেলেও সম্প্রতি তাকে দু ভাগ করে রাজ্যের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অংশ দুটিই এখন সরাসরি দিল্লীর শাসনে রয়েছে। তিন দশক ধরে এই কাশ্মীরে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা, যাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে মূলত কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে এবং সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি টেলিফোন লাইন কিছুটা চালু হলেও বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ার পটভূমিতে মোবাইল ফোন সেবা ও ইন্টারনেট এখনো বন্ধ আছে।

বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দেয়ার পরিবর্তে বাসায় রাখতেই স্বস্তি পাচ্ছেন, বিশেষ করে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না হওয়া পর্যন্ত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স একজন স্কুল শিক্ষককে উদ্ধৃত করেছে, যিনি বলেছেন - এ ধরণের ‘অনিশ্চিত অবস্থায়’ তারা শিক্ষার্থীদের স্কুলে আশা করেন না। তিনি আরো বলেন যে, অনেক স্কুল এখনো বন্ধ বা শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী খুবই কম এসেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে খবর সংগ্রহ করাও কঠিন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিনিয়তই কাশ্মীর নিয়ে তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেই চলেছেন। তার মতে, এটা দরকার ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে।

কিন্তু কাশ্মীরের জনগণ ও নেতাদের মতে, এটা বিশ্বাসঘাতকতা এবং এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের সাথে কোন আলোচনাই হয়নি। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা থেকেই বন্দী আছেন সেখানকার সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ