নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের কোলকাতার পার্শ্ববর্তী শহর কল্যাণীতে ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়শিপ খেলা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে টুর্নামেন্টের শিরোপা ধরে রাখার মিশনেই ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কিশোররা। সোমবার সকাল ৭টায় রওয়ানা হবে ৩০ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দলে ২৩ খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা সহ আরো সাত রয়েছেন।
টুর্নামেন্টের আগের আসরে স্থানীয় কোচ পারভেজ বাবু’র তত্বাবধানে সাফল্য পেলেও এবার ব্রিটিশ কোচ রবার্ট মার্টিন রাইলসের অধীনেও তা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ কিশোর দল। কোচ বদল হলেও লক্ষ্য অভিন্ন লাল-সবুজদের। ‘আমাদের ছেলেরা একাডেমিতে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আট সপ্তাহের বেশি প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত’- রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন একাডেমির ব্রিটিশ কোচ রবার্ট মার্টিন রাইলস। নিজের প্রথম মিশনেই শিরোপা অক্ষুণœ রাখার চ্যালেঞ্জ নিলেন রাবর্ট। তিনি বলেন, ‘যে কোনো কোচের জন্যই শিরোপা ধরে রাখাটা বেশ কঠিন কাজ। আমার জন্যও তেমনি। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’ কোচের কথায় সুর মেলালেন অনুর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বড় ভাইদের দেখানো পথে হাটতে চাই। অগ্রজরা যে শিরোপা জিতেছেন, আমরা তা ধরে রাখতে চাই।’ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বাফুফের একাডেমির। তবে বাইরের দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেললেও নিজেদের একাডেমির মধ্যেই ক’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে কিশোররা।
১১ দিনব্যাপী সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোর ফুটবল চ্যাম্পিয়শিপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত।
গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তান এবার খেলায় পাঁচ দেশ অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে। ফলে বদলে গেছে ফরমেশন। এবার দলগুলো খেলবে রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে।
২৩ শে আগস্ট ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করবে লাল-সবুজরা। ২৫ আগস্ট শ্রীলঙ্কা, ২৭ আগস্ট নেপাল ও ২৯ আগস্ট ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দু’টি দেশ ফাইনাল খেলবে। ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।
আগের পাঁচ আসরের মধ্যে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। মাঝে শিরোপাহীন থাকলেও গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফের শিরোপা পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশের কিশোররা। এখানেও নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। এবার লাল-সবুজের কিশোরদের লক্ষ্য টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।