রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঈদুল আযহার শিক্ষা পশু কুরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তষ্টি পাওয়া, কিন্ত একশ্রেনীর মুনাফা লোভী সিন্ডকেট ব্যবসায়ীদের কাছে মুনাফা বড়। দানের চামড়াতে কারসাজি এতিম মিসকিন গরিবেরা যেন কাঁচা চামড়ার দাম না পায়, কারসাজি করে দানের প্রতিষ্ঠানগুলিকে পানির দামে বিক্রী করতে বাধ্য করছে। সিন্ডকেট ব্যবসায়ীদের কারণে-কুরবানির হাজার হাজার পশুর চামড়া বিক্রী করতে না পেরে অনেক জায়গায় চামড়া মাটিতে পুতিয়ে রাখার খবর পাওয়া গেছে।
বিরামপুরসহ নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট উপজেলার সমন্বয়ে বৃহত্তর বিরামপুর উপজেলায় একটি চামড়ার বড় আড়ৎ বিরামপুর পৌর এলাকায় বসে। এখান থেকে চার উপজেলার চামড়া কেনাবেচা হয়। এ মৌসুমে এসব উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার পশু কুরবানি দেয়া হয়।
এসব এলাকায় রেওয়াজ রয়েছে কুরবানির চামড়া বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানায় বিত্তবানরা দান করেন। এবার ঈদ মৌসুমে চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ঢাকায় টেনারি মালিকেরা চামড়া কিনেন না, বাজারে চামড়া বিক্রী হয় না, এ অজুহাতে চামড়া সিন্ডকেট চক্রটি দলে দলে বিভক্ত হয়ে চামড়া কিনছেন পানির দামে।
হাজার হাজার কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নেয়, একেবারেই সস্তা। কুরবানির চামড়া গ্রাম গঞ্জের বিত্তবানরা মাদরাসা, এতিমখানা ও অসহায় গরির মানুষদের মাঝে দান করেন। এ দানের টাকায় এতিম ছাত্ররা সারা বছর পরনের কাপড় চোপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটায়। কিন্ত এবার এ মৌসুমে এতিমেরা চামড়ার দাম না পাবার কারনে তাদের দিন কষ্টে যাবে বলে কয়েকটি এতিমখানা ঘুরে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সুত্রে জানা যায়।
অন্য দিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একটি সুত্র জানায়, বিরামপুরের পাশবত্তী সীমান্ত এলাকা ভারত হবার কারনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চামড়া পাচারের সম্ভাবনা তৎপর একটি মহল। চক্রটি কুরবানির চামড়া ভারতে পাচার করার জন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে ভারতের পাচারে সক্রীয় রয়েছে। ভারত বাংলার চোরাচালানীরা এক জোট হয়ে এবার এসব এলাকায় পানির দামে চামড়া কিনছেন। চামড়ার ক্রেতা ইেন।
এ অজুহাতে সিন্ডেগেট ব্যবসায়ীরা এক লক্ষ টাকা দামের গরুর চমড়া ১০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি গরুর চামড়া ৫০ টাকা খাসি-ছাগলের চামড়া প্রতিটি ১০ টাকায় বিক্রী করে। এ ঈদে এতিম মিসকিন গরীবেরা তারা তাদের হকের চামড়া দাম পায়নি। সিন্ডেকেট চক্রের কারণে কাঁচা চামড়া যে যার মত দাম বলেছে সে দামেই তাদের কাছে বিক্রী করতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।