Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অ্যালার্জির টেস্ট কেন প্রয়োজন

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ওষুধ দিয়ে অ্যালার্জির উপসর্গ দমানো যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ করা যায় না। উপসর্গ কমাতে হলে অ্যালার্জির কারণ জানতে হবে। অ্যালার্জি টেস্ট করা প্রয়োজন। কোনো জিনিস যখন শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় তখন তাকে অ্যালার্জেন বলা হয়।
কাদের অ্যালার্জি টেস্ট করা প্রয়োজন-
বয়স্ক বা শিশু যেই হোক না কেন, যারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত যেমনঃ
* অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাক দিয়ে পানি ঝরা
* এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা ত্বকে চুলকানি
* আর্টিকেরিয়া বা ত্বকে ফুলে চাকা হয়ে যাওয়া
* অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা চোখ লাল হওয়া
অ্যালার্জি টেস্ট কেন প্রয়োজন
অ্যালার্জি টেস্ট নির্ধারণ করে দেয় রোগীর কীসে অ্যালার্জি হচ্ছে এবং কীসে অ্যালার্জির আশঙ্কা নেই। যদি নির্দিষ্ট অ্যালার্জেন শনাক্ত করা যায়, তাহলে রোগীর চিকিৎসার পরিকল্পনা করা সম্ভব। অ্যালার্জির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে জীবন ধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। শ্বাসতন্ত্রের সঙ্কোচন না থাকলে রোগীর ঘুম ভালো হয়, সর্দি পড়া কিংবা হাঁচি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, ব্যায়াম করার শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস না থাকলে রোগী স্বাভাবিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
অ্যালার্জি টেস্টের প্রকারভেদ
স্কিন প্রিক পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে অ্যালার্জেন রোগীর ত্বকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। যদি রোগীর অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তার শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
অ্যালার্জি রোগীর শরীরে অ্যালার্জি এন্টিবডি থাকে, যার নাম ইমুনোগ্লোবিউলিন-ই বা আইজি-ই। এটি রোগীর শরীরের মাস্ট কোষকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে মাস্ট কোষ কিছু রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করে, যাকে বলা হয় কেমিক্যাল মেডিয়েটর বা রাসায়নিক মাধ্যম। এ রকম একটি দ্রব্য হচ্ছে হিস্টামিন। হিস্টামিনের জন্য অ্যালার্জির স্থানে ত্বক ফুলে ওঠে ও লাল হয়ে যায়।
স্ক্র্যাচ টেস্ট : এ টেস্ট সব সময় করা হয় না। এ পরীক্ষার সময় রোগীর শরীর বা ত্বকে আঁচড় কাটা হয়। আঁচড়ের ক্ষতের ওপর অ্যালার্জেন দেয়া হয়।
চ্যালেঞ্জ টেস্ট : এক্ষেত্রে সন্দেহকৃত অ্যালার্জেন রোগীকে খাইয়ে দেয়া হয়। খাদ্য অ্যালার্জিতে এ টেস্ট করা হয়। এ পরীক্ষা করার সময় রোগীর পাশে ডাক্তার উপস্থিত থাকতে হবে।
রক্তের আরএএসটি (রাস) টেস্ট : এটির পুরো নাম রেডিও অ্যালারগোসোরবেন্ট টেস্ট। এ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে হয়। এতে অ্যালার্জেনের কারণ বের করা যায়।

ডা. গোবিন্দচন্দ্র দাস
অধ্যাপক (অব:), অ্যালার্জি বিভাগ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
দি এলার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার, ০১৭২১৮৬৮৬০৬।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন