মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবরুদ্ধ, বিভ্রান্ত, সন্ত্রস্ত, ক্রদ্ধ। ভারতের মোদী সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্তের পরে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের মানসিক অবস্থা বোঝাতে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গত ৯ ও ১০ আগস্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত দু’টি প্রতিবেদনে কাশ্মীরের ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম দিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীর উপত্যকাটিকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। হাজার হাজার ভারতীয় সেনা রাস্তা আটকে, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে, সাধারণ মানুষের বাড়ির ছাদ দখল করে নিয়েছে। ইন্টারনেট, মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন বন্ধ, ফলে বাইরের দুনিয়ায় যোগাযোগের কোনও উপায় নেই।’ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার দাবি করছে, এই পদক্ষেপগুলি এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জরুরি। তবে মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এর সঙ্গে বন্দিদশার তুলনা করছেন!’
মার্কিন সংবাদপত্রটির মতোই ব্রিটিশ চ্যানেল বিবিসি জানিয়েছে যে, বিক্ষোভ সামলাতে গুলি বা ছররা ছুড়েছে ভারতীয় সেনা। ৯ আগস্ট কাশ্মীরের একটি ভিডিও সম্প্রচার করেছে বিবিসি। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে সেনা। ছররা গুলি চালানোর শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। ভিডিওটি সে দিনই শ্রীনগরে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ চ্যানেলটি। নিউ ইয়র্ক টাইমসও বলছে, প্রতিবাদকারীদের ধারে-কাছে ঘেঁষতে না দিলেও তাদের সাংবাদিকরাও গুলি চালানোর শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
সাংবাদিকদের শ্রীনগরে ঢোকার উপরে বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো ভাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কিছু প্রতিনিধি শ্রীনগরে ঢুকে পড়তে পেরেছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। নিউ ইয়র্ক টাইমস ছাড়া রয়েছেন রয়টার্স ও এএফপি-র চিত্র সাংবাদিকেরা। তাদের তোলা ছবিতে বিক্ষোভের নানা মুহূর্ত উঠে এসেছে। ধরা পড়েছে ‘ছররা গুলি ও পদপিষ্ট হয়ে আহতদের’ ছবিও। শ্রীনগরের হাসপাতালে যন্ত্রণাক্লিষ্ট কিশোরী, ১৪ বছরের আফসানা ফারুকের ছবি ছেপে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শ্রীনগরে কাশ্মীরিদের একটি বিক্ষোভ-সমাবেশের উপরে সেনাবাহিনী ছররা গুলি চালাতে শুরু করলে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয় কিশোরীটি।
রয়টার্স, বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর এসব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে রোববারই বিবৃতি জারি করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার সেই অভিযোগ খণ্ডন করে টুইট করেছে বিবিসি। তাদের কথায়, ‘কাশ্মীরে যা হচ্ছে আমরা তার ভ্রান্ত ধারণা তুলে ধরছি— এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা নিরপেক্ষ ও সঠিক ভাবে পরিস্থিতি তুলে ধরছি। আমরাও উপত্যকায় যথেষ্ট বাধ্যবাধকতার মধ্যে কাজ করছি। আসলে কী ঘটে চলেছে, তা আমরা দেখিয়েই যাব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।