মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুরো কাশ্মীরই যেন এক কারাগারে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি এবং বেসরকারি ভবনগুলোকে অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, উপদেষ্টা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাসহ এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে চেন্তৌর, হারি নিবাস, ফরেস্ট গেস্ট হাউস এবং সরকারি ও বেসরকারি ভবনকে সহায়ক জেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে হরি নিবাসের পৃথক দুটি কটেজে রাখা হয়েছে।
ড. ফারুক আব্দুল্লাহ এবং ৯১ বছর বয়সী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ছাড়া বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফারুক আব্দুল্লাহ। ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতার অভিযোগ সরকার তাকে গৃহবন্দি করেছে। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোমবার ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেয়। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে এই পদক্ষেপের আগেই কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়।
চলমান অস্থিরতার মধ্যেই রোববার রাতে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। এর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তাদের দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকেই একের পর এক নেতা, উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর এখন ক্রোধে ফেটে পড়েছে।
কাশ্মীরে ভেতরেও কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সব কিছু মিলিয়েই পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সেখানে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সবকিছু যাচাই করছে। পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে - সবকিছু দেখা হচ্ছে। সব জায়গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা এখনো বুঝতে পারছে না যে, কী ঘটছে বা তাদের ভাগ্যে কী আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।