মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর এখন ক্রোধে ফেটে পড়েছে। শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় সর্বত্র হাজার হাজার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী টহল দিচ্ছে। সব রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সর্বত্র কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট বøক করে দেয়া হয়েছে। এখন কাশ্মীরে ভেতরেও কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সব কিছু মিলিয়েই পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সবকিছু চেক করছে। পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে - সবকিছু চেক করা হচ্ছে। সব জায়গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। কারণ তারা এখনো বুঝতে পারছে না যে, কী ঘটছে বা তাদের ভাগ্যে কী আছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত সরকার তখন সাময়িকভাবে কারফিউ তুলে নেবে যেন লোকজন উৎসবের আগে কেনাকাটা করতে পারে। তবে ঈদের সময় বাড়ির বাইরে তাদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে কি-না। তারা এখনও তা জানেন না। আগামী দিনগুলোতে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাশ্মীরের যোগাযোগ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে, সেখানকার অনেক লোকই এখনো ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের খবর জানেন না। তবে যারা জানতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই বলছেন যে, তারা আরো খবরের অপেক্ষায় আছেন। কারণ সবার কথা তারা বিশ্বাস করছেন না। ৫০ বছর বয়সী এক কাশ্মীরি নাগরিক বলেন, আগে তারা নিজেদের স্বাধীন ভাবতেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেই স্বাধীনতাও তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তারা ভারতের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন এবং তারা ভারতের গোলামে পরিণত হয়েছেন। কাশ্মীরের লোকজনের এটাই সাধারণ অনুভূতি। এখানকার মূলধারার রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি। তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তারা প্রতিবাদ করেছেন। ভারতের সরকারের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা উচিত হবে না, এতে হাত দেয়া ঠিক হবে না। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে ভারতের সরকার ও কাশ্মীরের মধ্যে যোগাযোগের অভাব ছিল। কাশ্মীরের নেতাদের গৃহবন্দি হবার কথা এখনো অনেকেই জানেন না। এ ব্যাপারে সেখানে কোন সরকারি ঘোষণাও দেয়া হয়নি। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।