Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ক্রোধে ফেটে পড়েছে শ্রীনগর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর এখন ক্রোধে ফেটে পড়েছে। শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় সর্বত্র হাজার হাজার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী টহল দিচ্ছে। সব রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সর্বত্র কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট বøক করে দেয়া হয়েছে। এখন কাশ্মীরে ভেতরেও কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সব কিছু মিলিয়েই পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সবকিছু চেক করছে। পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে - সবকিছু চেক করা হচ্ছে। সব জায়গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। কারণ তারা এখনো বুঝতে পারছে না যে, কী ঘটছে বা তাদের ভাগ্যে কী আছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত সরকার তখন সাময়িকভাবে কারফিউ তুলে নেবে যেন লোকজন উৎসবের আগে কেনাকাটা করতে পারে। তবে ঈদের সময় বাড়ির বাইরে তাদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে কি-না। তারা এখনও তা জানেন না। আগামী দিনগুলোতে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাশ্মীরের যোগাযোগ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে, সেখানকার অনেক লোকই এখনো ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের খবর জানেন না। তবে যারা জানতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই বলছেন যে, তারা আরো খবরের অপেক্ষায় আছেন। কারণ সবার কথা তারা বিশ্বাস করছেন না। ৫০ বছর বয়সী এক কাশ্মীরি নাগরিক বলেন, আগে তারা নিজেদের স্বাধীন ভাবতেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেই স্বাধীনতাও তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তারা ভারতের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন এবং তারা ভারতের গোলামে পরিণত হয়েছেন। কাশ্মীরের লোকজনের এটাই সাধারণ অনুভূতি। এখানকার মূলধারার রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি। তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তারা প্রতিবাদ করেছেন। ভারতের সরকারের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা উচিত হবে না, এতে হাত দেয়া ঠিক হবে না। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে ভারতের সরকার ও কাশ্মীরের মধ্যে যোগাযোগের অভাব ছিল। কাশ্মীরের নেতাদের গৃহবন্দি হবার কথা এখনো অনেকেই জানেন না। এ ব্যাপারে সেখানে কোন সরকারি ঘোষণাও দেয়া হয়নি। বিবিসি।



 

Show all comments
  • Abdullah AL Noman ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    যেসব শর্তে কাশ্মীর ভারতের সাথে যুক্ত ছিলো ৩৭০ তার মধ্যে অন্যতম। এই ধারা বিলুপ্তির পর ভারতের সাথে আর কাশ্মীর যুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। কাশ্মীর থেকেই ভারতের ভাংগন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Naim Uddin ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    মুসলমানদের উপর জুলুম করে ভারত ধ্বংসের পথে, যেমন ধ্বংস হয়েছে রাশিয়া। কোন জালেম শাসক চিরস্থায়ী হয়নি মুদি সরকার ও হবে না। ইনশা আল্লাহ।
    Total Reply(1) Reply
    • Kamal ৮ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 4
      ???? ???????
  • Shahab Uddin Ringkon ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    কাশ্মীর ইস্যুতে মুলত তিনটি দেশ দায়ী। ভারত পাকিস্তান চীন তিন দেশই কাশ্মীর থেকে লাভবান হচ্ছে। ভারত তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে আর পাকিস্তান মায়াকান্না করছে। পাকিস্তান যদি তাদের অধ্যুষিত অঞ্চল স্বাধীন ঘোষণা করে দিত তাহলে ভারত পুরো বিশ্বের চাপে পড়ত হয়তোবা। আর চীনের লাভ হল তাদের সাথে ভারতের আঞ্চলিক বিরোধ পুরোনো তারা সুযোগটা কাজে লাগানোর ধান্দায় আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • S.m. Abul Kalam Azad ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৩ এএম says : 0
    কাশ্মীর, আসাম সব রাজ্যেই ধর্মীয়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে একটি ধর্মের অনুসারীদের যা ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী। কাউকে ভিটেমাটিহীন করা, নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়া আন্তর্জাতিক সনদের লংঘন। ভারত তাই করে চলেছে। এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • S.m. Abul Kalam Azad ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৩ এএম says : 0
    কাশ্মীর, আসাম সব রাজ্যেই ধর্মীয়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে একটি ধর্মের অনুসারীদের যা ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী। কাউকে ভিটেমাটিহীন করা, নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়া আন্তর্জাতিক সনদের লংঘন। ভারত তাই করে চলেছে। এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Tahiya Ibnat ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
    জাতিসংঘ এখন ঘুমাচ্ছে, মুসলিমদের কিছু হইলে তাদের ঘুম ভাগে না। আমাদের বাংলাদেশের উচিত পাকিস্তানের মত কাশ্মীরকে সম্মতি দেয়া
    Total Reply(0) Reply
  • Al-amin Sikandar ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
    ভারতের সাথে মুসলমানদের ১ টা যুদ্ধ হবে,এবং সেই যুদ্ধে ভারত হেরে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে,এটা ইসলামে আগেই ঘোষণা দেওয়া আছে, আর ইসলাম মিথ্যা নয়, Let's see
    Total Reply(0) Reply
  • Al-amin Sikandar ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
    ভারতের সাথে মুসলমানদের ১ টা যুদ্ধ হবে,এবং সেই যুদ্ধে ভারত হেরে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে,এটা ইসলামে আগেই ঘোষণা দেওয়া আছে, আর ইসলাম মিথ্যা নয়, Let's see
    Total Reply(0) Reply
  • Hossain Al Mamun ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
    হাজার হাজার মুসলিম জবাই করে নাফ নদীতে ভাসিয়ে দিলো সমান্য চুনোপুঁটি মিয়ানমার,কেউ একটা চুলও সুজা করতে পারছে মিয়ানমারের, আর ভারততো পারমানবিক শক্তিসম্পন্ন একটা জানোয়ার,কে কি করবে ভারতের? ফাও চিল্লাইয়া লাভ নাই,তাতে নির্যাতন আরো বাড়বে!
    Total Reply(0) Reply
  • Abul Hasan Muhammad Abdullah ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    জাতিসংঘের প্রস্তাবিত গনভোটই ছিল কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ সমাধান ৷ তবে বর্তমানে আজাদীর জন্য সংগ্রাম করা ছাড়া কাশ্মীরিদের কোন উপায় নেই ৷
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraful Alam ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    কাশ্মীরের শাসক শ্রেণী ভেবেছিল ভারতের সাথে থাকলে ওরা অধিকতর স্বায়ত্তশাসন পাবে । জনগণের নাড়ির স্পন্দন ওরা টের পায়নি । আজকে তার মাসুল দিতে হচ্ছে । দেরিতে হলেও ওরা যদি ভারতের আগ্রাসী চরিত্র হতে বাঁচতে চায় এখনই অশ্র হাতে তুলে নিতে হবে । যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে দখলদার বাহিনীর উপর । স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে না । মনে রাখবা মুকিযোদ্ধারা কখনো পরাজিত হয় না । পাকিস্তান কিংবা অন্য দেশ তোমাদের সাপোর্ট দিতে পারবে কেবল কাজের কাজটি তোমাদেরই করতে হবে । বিশ কোটি ভারতীয় মুসলমান সম্মিলিত চেষ্টা করল মুক্তি তোমাদের অনিবার্য ।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Salahuddin Khan ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    জানিনা কেনো এতো মুসলিম দের উপর অত্যাচার। কি করলে এগুলো বন্ধ হবে…?কি করলে এ পৃথিবীর মানুষ গুলো শান্তিতে থাকবে? আমরা মুসলিমরা এমন এক পৃথিবী চাই যেখানে সর্বদা শান্তি আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে। আল্লাহ সকলকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দানকরুক আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ