প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক ফ্রেমে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা জাহিদ হাসান এবং চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি নাট্য নির্মাতা অমিতাভ রেজার পরিচালনায় একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তারা। কোমলপানীয় কোম্পানি কোকো-কোলা ব্রান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য স্প্রাইডের একটি নতুন বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে তাদের। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি থেকে জানানো হয় সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি গল্পে তরুণদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্যই এই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপনের শুরুতে দেখা যায়, মরুর বুকে এক অজানা রহস্য উন্মোচনে জন্যে তৃষ্ণার্ত হয়ে ছুটতে থাকে নায়ক সিয়াম আহমেদ। তখন সিয়াম মাটি খুঁড়ে একটি প্রাচীন আলাদিনের প্রদীপের সন্ধান পায়। সিয়াম প্রদীপটি হাতে নিতেই বের হয়ে আসেন দৈত্য রূপি এক জিন। ওই জিনের চরিত্রেই বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। তখন জিনটি অর্থাৎ জাহিদ হাসান সিয়ামের কাছে জানতে চান তার তিনটি ইচ্ছা। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সিয়াম ইতস্তত হয়ে দাঁড়াতে বলে জিনকে। চতুর জিন এটিকেই প্রথম ইচ্ছা হিসেবে ধরে নেয়। বিপাকে পড়েন সিয়াম। তাহলে দ্বিতীয় ইচ্ছাটা কি বলবেন! আবার যদি জিন কোন চতুরামি করে বসে! সিয়াম দ্বিতীয় ইচ্ছা সর্ম্পকে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। তখনই সিয়ামের আরেকটি স্বত্তা বের হয়ে আসে। আর সেটাই সাহায্য করে সিয়ামকে। দ্বিতীয় ইচ্ছা হিসেবে স্প্রাইট চাইতে পরামর্শ দিলেন। একটু ভড়কে গেলো জিন। আর স্প্রাইট পানের সঙ্গে সঙ্গে সিয়ামের মধ্যে উপস্থিত বুদ্ধি জাগ্রত হয়। এবার কিন্তু আর বোকামি নয়, বরং শেষ ইচ্ছা হিসেবে সে নতুন আরো তিনটি ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন জিনের কাছে। সিয়ামের এই উপস্থিত বুদ্ধিতে বোকা বোনে যায় দৈত্য ওই জিন। এমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে কোকা কোলার এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি।
বিজ্ঞাপনটির বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড এর কান্ট্রি হেড অজয় বাতিজা বলেন, ‘কোকা-কোলা কোম্পানির জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্প্রাইটের বিজ্ঞাপন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম যেন অসহনীয় আর তখন তৃষ্ণা নিবারনে সাহায্য করে স্প্রাইট। এই ধারনাটিকেই বাস্তবে রুপায়ন করলেন জাহিদ হাসান ও সিয়াম আহমেদ। খুব শিগগিরই অসাধারণ একটি বিজ্ঞাপন যুক্ত হতে যাচ্ছে কোম্পানিটির ঝুলিতে।’
এদিকে স্প্রাইটের বিজ্ঞাপনটির বিষয়ে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্রে এ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্প্রাইটের মতো একটি অসাধারন ব্র্যান্ড্রের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ কিন্তু প্রতিনিয়ত আসে না। এই বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সকল পর্যায়ই ছিল দারুণ অভিজ্ঞতাপূর্ণ। সকলেই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণে তাদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েছে। গ্রে এ্যাডর্ভাটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড এর ত্বত্তাবধায়নে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় বিজ্ঞাপনটির কাজে অংশ নিয়েছিলেন নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মো: তারিক। চীফ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন। চিত্রগ্রহণে ছিলেন তুহিন তামিজুল। এছাড়া ভারতের মুম্বাই থেকে সংগীত পরিচালক হিসেবে ছিলেন রাজিভ ভাল্লা। এছাড়া বিজ্ঞাপনটি নির্মাণে অন্যান্য দায়িত্বে ছিলেন আদনান আবিদ খান, তানজির রহমান, মো: মানিকুজ্জামান এবং আলো আলম।
উল্লেখ্য, কোকা-কোলা বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার ভোক্তার কোমলপানীয়ের চাহিদা পূরণ করছে, যা তাদের সতেজ ও চনমনে থাকতে বেশ সহায়ক। কোকা-কোলার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছেÑকোকা-কোলা, ডায়েট কোক, ¯প্রাইট, ফান্টা, কিনলে সোডা, কোক জিরো, স্প্রাইট জিরো, রিমঝিম, থাম্স আপ চার্জড, ফান্টা লিচি ও থাম্স আপ কারেন্ট ইত্যাদি। কোম্পানিটি এদেশে ৫ শতাধিক লোকের সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে আরও ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। কোকা-কোলা নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কমিউনিটি বা সমাজকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি কর্মসূচি হলো এভরি ড্রপ ম্যাটারস ও ওয়াশ। এ দুটি কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বা পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া কোকা-কোলা বাংলাদেশে উইমেন বিজনেস সেন্টার নামে তার ব্যতিক্রমধর্মী ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।