মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল-২০১৯ এর আওতায় লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে ভারত। এ ব্যাপারে মন্তব্য না করতে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বেইজিং সফরকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত জয়শঙ্করের চীন সফরে থাকার কথা।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় বিল পাস করে বিজেপি সরকার। পরদিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লোকসভায়ও পাস হয় বিলটি। জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল ২০১৯ নামের এ বিলের আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এ নিয়ে মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ভারতকে হুঁশিয়ার করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত যে সমঝোতা হয়েছিল তা মেনে চলার জন্য এবং সীমান্ত ইস্যুগুলো আরও জটিল করে তুলবে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবারই চীনের হুঁশিয়ারির জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল ২০১৯-কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করা হয়। চীনকে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না এবং অন্য দেশগুলোও একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা রাখি আমরা।’
বিরোধপূর্ণ এলাকা লাদাখের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংয়ের হাতে হলেও ভারত বরাবরই একে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। এ এলাকাকে ভারতের কেন্দ্র শাসনের আওতায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার বেইজিং এর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল,‘চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম অংশে ভারতের প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে চীনা এলাকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং। এ অবস্থানটি দৃঢ়,অবিচল ও কখনও পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পক্ষ একতরফা চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করে যাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।