নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর চলতি বছরই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে তা আয়োজনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আর এই জটিলতার মূল কারণ ভারতের দুই স্বনামধন্য ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এ দু’টি ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা টুর্নামেন্টে খেলবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত আয়োজকদের কোনো জবাব দেয়নি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। ফলে চট্টগ্রাম আবাহনী টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ চুড়ান্ত করতে পারছে না।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহযোগিতায় প্রতি দু’বছর অন্তর শেখ কামাল ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে চট্টগ্রাম আবাহনী। ২০১৫ সালে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বসে টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের খেলা। চলতি বছর আয়োজকরা অক্টোবর মাসে টুর্নামেন্ট করতে চাইলেও বাফুফে সময় নির্ধারণ করে দেয় ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর। কিন্তু এই দিনক্ষণও শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকছে কি না তা বলতে পাড়ছে না স্বয়ং আয়োজকরাই।
টুর্নামেন্ট শুরু করার জটিলতা কাটাতে চট্টগ্রাম আবাহনীর কর্মকর্তারা আর চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। তারা ভারতীয় দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চান। আর এজন্য চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ কামাল ক্লাব কাপের পৃষ্ঠপোষক সাইফ পাওয়ারটেকের তিন কর্মকর্তা ৯ আগস্ট কোলকাতা যাবেন। তিন কর্মকর্তাদের মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের কো-অর্ডিনেটর শাকিল মাহমুদ চৌধুরীসহ আরো একজন রয়েছেন। তারা সেখানে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্ট শুরু দিনক্ষণ চুড়ান্ত করবেন। ভারতীয় এ দুই ক্লাব ছাড়া টুর্নামেন্ট করতে চায় না আয়োজকরা। এটা আগেই বলেছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী। এবার তার সুরে সুর মেলালেন ক্লাবটির ম্যানেজার ও টুর্নামেন্টের কো-অর্ডিনেটর শাকিল মাহমুদ চৌধুরীও। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘আমরা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ছাড়া টুর্নামেন্ট করবো না।’
ভারতের এ দুই ক্লাবকে গুরুত্ব দেয়ার কারণ হলো- তারা খেললে টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলছে এটা জানলে ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়ামমুখী হন। তাই এবারো ভারতীয় দুৃই ক্লাবকে খেলানোর জন্য সব রকম চেষ্টাই করবেন চট্টগ্রাম আবাহনী কর্তারা। আগের মতো শুধু চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে কোলকাতায় গিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের রাজি করাতে চান আয়োজক কর্মকর্তারা। ভারতের দুই ক্লাবের সময় সুযোগমতোই টুর্নামেন্টের তারিখ নির্ধারণ করার ইচ্ছা চট্টগ্রাম আবাহনী কর্মকর্তাদের। সেই তারিখ অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হবে অন্য দলগুলোকে। আগের মতই এবারো ৮ দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ইচ্ছা আয়োজকদের। এর মধ্যে পাঁচ বিদেশী ও তিন স্থানীয় ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হবে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। স্থানীয়দের মধ্যে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড এবং আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। আয়োজন সুত্রে জানা গেছে, ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ছাড়াও অন্য তিনদলের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে পাঁচ দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে। এরা হলো- থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, নেপাল ও কম্বোডিয়া। এদের মধ্যে যে কোনো তিনটি ক্লাবকে শেখ কামাল ক্লাব কাপে খেলানোর চেষ্টা করছে আয়োজকরা। এবার দলগুলো অংশগ্রহণ ফি পাবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করে। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং রানার্সআপ দলকে দেয়া হবে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনালে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ৩-১ গোলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। পরের আসরের শিরোপা যায় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবে। ২০১৭ সালে ফাইনালে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার এএফসি পোচন’কে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।