Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমে উঠেছে সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার সাতমাইল পশুর হাট

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৪৫ পিএম

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার সাতমাইল কোরবানির পশুর হাট। ভারতীয় গরু না আসায় এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না এলে এ বছর তারা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন।তবে, ঈদকে ঘিরে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক খামারি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় গরু-ছাগলে জম-জমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকি থাকায় এবার মানসম্পন্ন পশু পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় পুশর হাট যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল। এখান থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা গরু কিনে থাকেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু শার্শা উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১১শ’ খামারের গরু বিভিন্ন পশুর হাটে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। তবে, গো-খাদ্যের দাম না কমালে লোকসানের আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে পশু খামারের বিস্তার হওয়ায় ভারতীয় গরু আনা বন্ধের দাবি জানান খামারিরা।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, ভারতীয় গরু-ছাগল না এলেও কোরবানির পশুর হাটে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যশোরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩টি পশুর হাট রয়েছে। এর বাইরে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো ১১টি অস্থায়ী হাট গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট হচ্ছে বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকির জন্য আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আশা করছি এবার পুষ্টি মানসম্পন্ন পশু পাওয়া যাবে এসব হাট থেকে।
বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাটের সভাপতি ইয়াকুব আলী বিশ্বাস জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাটের সব প্রস্ততির পরে স্থানীয় খামারিসহ ব্যাপারিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। আশা করছি কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না।

সাত মাইল পশু হাটের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল জানান, বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাটটি সার্বক্ষণিক প্রশাসনের তদারকিতে আছে ফলে এখানে পকেটমার, দালাল ও ছিনতাইকারী মুক্ত। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর দেশীয় খামারিরা অনেকটা লাভবান হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশুর হাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ