গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আইয়ুব আলী : চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারগুলোতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে কোরবানী পশু হাট বসছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র আওতাধীন আটটি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে ওইদিন থেকে কোরবানীর পশু বিকিকিনি শুরু হবে। ইতোমধ্যে আটটি বাজারের ইজারাদার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে চসিক। এবার প্রায় ৩ হাজার ৩শ’টি খামার কোরবানীর পশু চাহিদা মেটাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া ৩০২টি স্থায়ী ও আরও প্রায় ৩ হাজার অস্থায়ী খামার রয়েছে। এসব খামারে পর্যাপ্ত পশু থাকায় এবারের কোরবানীতে পশু সংকট না হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এসব খামারে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আগে থেকে কোরবানীর পশুগুলো মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার বিপরীতে খামারগুলোতে পর্যাপ্ত পশু মজুদ থাকায় এবার বাইর থেকে কোন পশু না এলেও সঙ্কটের আশঙ্কা নেই বলে তারা জানালেন।
চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ জিলহজ থেকে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে) নগরীর ২টি স্থায়ীসহ ৮টি পশুর হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানীর পশু বিকিকিনি শুরু হবে। গত পহেলা বৈশাখ স্থায়ী বাজারগুলোতে ইজারাদার নিয়োগ করেছে চসিক। এছাড়া অস্থায়ী বাজারগুলোর মধ্যে চারটিতে গত ২১ আগস্ট এবং অবশিষ্ট দুটোতে গত রোববার ইজারাদার নিয়োগ দিয়েছে চসিকের রাজস্ব বিভাগ। চসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন অস্থায়ী বাজারগুলো হচ্ছে স্টিলমিল বাজার, কমল মহাজন হাট, কর্ণফুলী গরুর বাজার (নূর নগর হাউজিং), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন স্থান (ইজারাদার কর্তৃক নিজ উদ্যোগে জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে), পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাটগড়) এবং পোস্তারপাড় স্কুল মাঠের অস্থায়ী ছাগল বাজার। এছাড়া দুটি স্থায়ী বাজার হচ্ছে বিবিরহাট ও সাগরিকা গরুর বাজার। তবে প্রতি বছর নগরীতে চসিক নিয়ন্ত্রিত ৮ বাজারের বাইরেও যত্রতত্র গরুর বাজার গড়ে ওঠার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চসিকের স্থায়ী ও অস্থায়ী গরুর বাজার প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে কোরবানীর পশুর হাটে ইজারাদার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাজারগুলোতে নজরদারি থাকবে। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খামারগুলোতে ৩ লাখ ৩৬ হাজার গরু, ১ লাখ ২০ হাজার ছাগল এবং প্রায় ৩৮ হাজার মহিষ মজুদ আছে। চট্টগ্রামে স্থায়ী খামারের সংখ্যা হল ৩০২টি। এর বাইরে কোরবানী উপলক্ষে আরো প্রায় ৩ হাজার অস্থায়ী খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে সারা বছরই পশু মোটা-তাজা করা হয়। গত কয়েক মাস ধরে এসব খামারে চলছে কোরবানীর পশু মোটা-তাজাকরণ। এছাড়া কোরবানী উপলক্ষে ব্যক্তি পর্যায়েও পশু পালন করেন অনেকে। ফলে স্থানীয়ভাবে বিপুল মজুদ গড়ে ওঠায় এবার পশু সংকটের আশঙ্কা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।