Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক স্থানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩২

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ৩:৩২ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি আলাদা অঙ্গরাজ্যে পৃথক বন্দুকধারীর গুলিতে রোববার দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি শপিংমলে ও ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ডেটনে দুই বন্দুকধারী এই হামরা চালায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, টেক্সাস হামলার মাত্র ঘণ্টা কয়েকের ব্যবধানে ওহাইওর এ হামলাটি ঘটে।

টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানান, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে অঙ্গরাজ্যের এলপাসো শহরের সিয়েলো ভিস্তা শপিংমলে ওয়ালমার্টের একটি দোকানে এ গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক শ্বেতাঙ্গকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বলছেন, ওই ব্যক্তি একাই এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। তার নাম প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস (২১)।

সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীর ছবি পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, কালো টি-শার্ট পরে এ নৃশংস হামলা চালিয়েছেন তিনি। তার কানে প্রটেক্টর ও হাতে ছিল রাইফেল। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যমগুলোও একই ছবি প্রচার করেছে। আটক ২১ বছর বয়সী সন্ত্রাসী প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস ডালাস এলাকার অধিবাসী। পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে আর কোনো হুমকি নেই বলে তারা ধারণা করছেন।

শপিংমলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, এলপাসোর ঘটনা অতিপীড়াদায়ক। এতে অনেকের প্রাণ ঝরেছে।

স্থানীয় মার্কেট থেকে নেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীর ছবি শনাক্ত করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি কালো টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় নৃশংস এ হামলাটি চালিয়েছেন তিনি। তার কানে প্রটেক্টর ও হাতে ছিল রাইফেল। পরবর্তীতে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যমগুলোও হামলাকারীর এই একই ছবি প্রচার করেছে।

এদিকে, ওহাইও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ওহাইওর ডেটনের ওরিগন জেলার ইস্ট ফিফথ স্ট্রিটে আচমকা দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ হামলাকারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এরই মধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে নাকি পুলিশের গুলিতে তারও প্রাণহানি হয়েছে; সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আহতদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।

এ দিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলটি পুরোপুরিভাবে ঘিরে রেখেছে। পূর্বপরিকল্পিত এ হামলার পেছনে একাধিক বন্দুকধারী জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্যই প্রকাশ করা হচ্ছে না।

ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্বেতাঙ্গদের দেশ’ বলে একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন, যেখানে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর লোকজন অনাহুত। তার গৃহীত নীতির ফলে উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা অ-শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে উসকানি পাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করে থাকেন। সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ