মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের জিডিপি ক্রমতালিকায় ষষ্ঠস্থান থেকে এক ধাপ নেমে সপ্তম স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত। সম্প্রতি প্রকাশ করা এই তালিকা অনুযায়ী ভারতের ঠিক আগে, অর্থাৎ পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স। বিশ্ব ব্যাংকে প্রকাশিত, ২০১৭ সালের জিডিপি তালিকা অনুযায়ী ফ্রান্সকে সপ্তম স্থানে ঠেলে দিয়ে ভারত ষষ্ঠস্থানে বছর শেষ করেছিল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিশ্বব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী, গ্লোবাল জিডিপির নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মোট জিডিপির পরিমাণ ২০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। তার ঠিক পরেই রয়েছে এশিয়ান সুপারপাওয়ার চিন। তাদের মোট জিডিপির পরিমাণ ১৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ জাপান। জাপানের অর্থনীতির মোট পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, ভারতের মোট জিডিপির পরিমাণ ছিল ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির থেকে সামান্য কম।
বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের তালিকা অনুযায়ী ভারতের মোট জিডিপির পরিমাণ ছিল ২.৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ছিল ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের ( যথাক্রমে ২.৬৪ এবং ২.৫০ ট্রিলিয়ন ডলার) মোট জিডিপির থেকে সামান্য বেশি। এরফলে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত খুব সহজেই আন্তর্জাতিক ক্রমতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে নেয়। বিশেষজ্ঞদের দাবী এক ধাক্কায় পঞ্চম স্থান থেকে সপ্তম স্থানে নেমে যাওয়ার পেছনে ডলারের তুলনায় ভারতীয় রুপির দাম পড়ে যাওয়া একটি বড় কারণ। এছাড়াও অর্থনীতির ‘স্লো-ডাউন’ বা বৃদ্ধির গতিহ্রাসও অন্যতম মুখ্য কারণ হিসেবে উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডলারের তুলনায় রুপির দাম ক্রমাগত বেড়ে চলে। উল্টোদিকে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গোটা ২০১৮ সাল ধরে ডলারের তুলনায় পতন ঘটে রুপির দামে। ইন্ডিয়া রেটিংস সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ দেবেন্দ্র পন্থের দাবি, বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হলে জিডিপি র্যাঙ্কিং এ নতুন করে পরিবর্তন ঘটতেই পারে।
ক্রমতালিকায় পতন হলেও ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার এখনও বিশ্বে দ্রুততম। তবে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের শেষেই বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের আশেপাশে নেমে আসতে পারে। যদিও লন্ডনের একটি সমীক্ষা সংস্থা আইএইচএস মার্কিট-এর দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের শেষেই ভারত ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে জিডিপির নিরিখে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করতে পারে। তাদের আরও দাবি, ২০২৫ সাল নাগাদ ভারত জাপানকে ছাপিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে।
ভারত সরকার ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে ভারতকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে রাখতে হবে। এখন দেখার ৭ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করা বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশে পৌঁছে দিতে পারে কিনা মোদি সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।