রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পরিবেশ অধিদফতরের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কুমিল্লায় গড়ে উঠেছে অটোরাইস মিল ও ধান চাতাল। অপরিকল্পিত রাইসমিল-কারখানার বর্জ্য, ধুলো ময়লা, তুষ ছাই ওড়ে আবাসিক ঘরবাড়িতে পড়ে একদিকে যেমন এলাকার পরিবেশ দারুনভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার জনস্বাস্থ্য। রাইস মিলের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পরিবেশ অধিদফতর ও হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছে না মিল মালিকরা।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভারেল্লা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত মেসার্স সাকিব এন্ড ফারুক এবং মেসার্স ভাই ভাই অটোরাইস মিল দুইটি গড়ে উঠে। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা রাইসমিল দুটির কারণে জনদুর্ভোগ ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জানমালের সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুঘর্টনা ঘটছে। ২০০৬ সালে ভাই ভাই এবং ২০১২ সালে মেসার্স সাকিব এন্ড ফারুক নামের রাইসমিল দুটি একই জায়গায় পাশাপাশি গড়ে তোলা হলে এলাকাবাসী শুরু থেকেই মিল দুইটি অপসারণের দাবি করে আসছিল। কেননা মিলের আশপাশেই তিন হাজারের বেশি পরিবার বসবাস করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পরিবেশ অধিদফতর থেকে রাইসমিল দু’টি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। অধিদফতরে নির্দেশায় প্রায় তিন মাস আগে ভাই ভাই অটোরাইস মিলের কার্যক্রম বন্ধ করা হলেও সাকিব এন্ড ফারুক অটোরাইস মিলের কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে এ রাইস মিলটি চালু থাকার কারণে মিলের ছাই ময়লা উড়ে আশপাশের বাড়িঘর যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পথচারীদের চোখে-মুখে পড়ে মানুষের চোখের ক্ষতি করছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রামপুর ও আশপাশের গ্রামের মানুষ। আবাসিক এলাকার মধ্যে রাইসমিল চালু থাকায় সব সময় ছাই উড়ে তাদের ঘরবাড়ি অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে টিনের ঘর বসতবাড়িসহ গাছ-পালা, মারা যাচ্ছে পশু-পাখি। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। মিলের ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে অধিকাংশ পরিবারের লোকজন চোখের রোগ, অ্যাজমাসহ নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছামছুল জানান, নোটিশ দেয়ার পর একটি রাইসমিল তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। আর সাকিব এন্ড ফারুক অটোরাইস মিলকে এযাবত ৩টি নোটিশ প্রদান করা হলেও রাইস মিলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং-৪৩৯৮/২০১৮ এর নিদের্শনা অনুসারে রাইস মিলটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নিদের্শ প্রদান করে। কিন্তু মিল মালিক হাইকোর্টের নির্দেশনাও মানছেন না।
সাকিব এন্ড ফারুক অটোরাইস মিলের পরামর্শক নাছির উদ্দিন সোহাগ বলেন, আমরা বৈধভাবে মিল চালাচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটি আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।