পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নীতিমালা না থাকায় মানহীন মোবাইল হ্যান্ডসেট ও এক্সেসরিজের বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। যা অর্থনীতির পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। একইসাথে অবৈধ পথে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ হ্যান্ডসেট আমদানি হওয়ায় সরকার এ খাত থেকে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল (রোববার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, মোবাইল এক্সেসরিজ আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন, মহাসচিব হেলাল সওদাগর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. ইসরাত হাসান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর-রশিদ, হাবিবুর রহমান, সীমা আক্তার, ইব্রাহীম খন্দকার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহারের প্রথম দিকে কোন নীতিমালা তৈরি না হওয়ায় মোবাইল অপারেটর সিটিসেল নিম্নমানের হ্যান্ডসেট ও সেবা প্রদান করে ভোক্তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নেয়। ১৯৯৬ সালে যখন টেলিকম সেক্টরের বাজার উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ী, অপারেটররা ভোক্তাদের সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রতারিত করে চলে। পরবর্তীতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ তৈরি ও ২০১০ আইনে সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু এ আইনের প্রয়োগ ও প্রচারণা না থাকার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিম্নমানের হ্যান্ডসেট আমদানি করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। প্রতিমাসে প্রায় বৈধ পথেই হ্যান্ডসেট আমদানি হয়ে থাকে ২৪ লাখ। এ সকল হ্যান্ডসেটের আমদানি করার পূর্বে বিটিআরসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। আমাদানির পর এসকল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নাম্বার বিটিআরসিতে জমা প্রদান করতে হয়। কিন্তু বাস্তবতা এর মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিদিনই হাজার হাজার নকল নিম্নমানের হ্যান্ডসেট মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে। এসকল হ্যান্ডসেটের সকল আইএমইআই নাম্বারই ফেইক। আবার বৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলোও পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায় এসকল ব্যবসায়ীও নকল ও নিম্নমানের হ্যান্ডসেট বাজারে অবাধে বিক্রি করে চলেছে। অবৈধ পথে আমদানি হওয়ায় সরকার এ খাত থেকে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে মোবাইল এক্সেসরিজ আমদানিতে কোন নীতিমালা না থাকায় বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। চায়নার ফ্যাক্টরীগুলো থেকে ই-বর্জ্য আমদানি করে নতুন মোড়কে ব্র্যান্ড আকারে বাজার জাত করে যাচ্ছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যত্রতত্রভাবে এসকল এক্সেসরিজ উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত করার ফলে আমরা ফুটপাতে এর বাজার লক্ষ্য করি। ভোক্তাগণ এসকল মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন তাদের হ্যান্ডসেটের ক্ষতিসাধন হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবার স্বাস্থ্যের জন্য এ সকল পণ্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অবাধে আমদানি বা বাজারজাত করতে পারবে না। কিন্তু এ আইনে বলা হয়নি যে, পণ্য আমদানি বা তৈরি করার পর তার মান পরীক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের উপযোগী কিনা তা যাচাই করার কোন পরীক্ষাগার থেকে অনুমতিপত্র নেয়ার প্রয়োজন আছে। ফলে ইচ্ছেমতো আমদানি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ এসব পণ্য। বক্তারা আরও বলেন, মোবাইল ফোন থেকে যে উচ্চ মাত্রার রেডিয়েশন ছড়ায় তার মাধ্যমে ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, আলঝেইমার’স, পারকিনসন’স, ক্লান্তি ও মাথা ব্যথাসহ আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মোবাইল হ্যান্ডসেট ও এক্সেসরিজ বাজার জাতের পূর্বে পরীক্ষা করে বাজার জাত করা, অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট ও এক্সেসরিজ আমদানি বন্ধ করা, দেশে মানসম্পন্ন হ্যান্ডসেট ও এক্সেসরিজ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিটিআরসির নীতিমালায় পরিবর্তন, ঘনঘন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করাসহ হ্যান্ডসেটের রেডিয়েশন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।