প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্রের এক সময়ের শীর্ষ নায়িকা শাবনূর এখন স্থায়ীভাবেই অস্ট্রেলিয়া থাকছেন। মাঝে মাঝে দেশে আসেন। তার ভাবনা জুড়ে ছেলে আইজান। তাকে মানুষের মতো মানুষ করার জন্যই প্রবাসজীবন বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাবনূর তার প্রবাসজীবন এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, অনেকটা স্থায়ীভাবেই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছি। এর মূল কারণ একমাত্র ছেলের উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলা। সে যেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সেজন্য দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকছি। অস্বীকার করার উপায় নেই এখানে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। নিরাপদ জীবনযাপন করা যায়। তবে দেশের জন্য সবসময়ই মন খারাপ হয়। জীবনের বাস্তবতার কারণেই প্রবাসে বসবাস করতে হচ্ছে। এই আমি যে শাবনূর হয়েছি তা বাংলাদেশের আলো বাতাসের মধ্যেই। সেখানকার দর্শকের কারণে আমি নায়িকা হয়েছি। অস্ট্রেলিয়া থাকলেও অমার অন্তর জুড়ে সবসময় বাংলাদেশ থাকে। নায়িকা শাবনূরের মূল্যায়ন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আড়াই দশক পার করেছি। এর মূল্যায়ণ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। নিজের মূল্যায়ন নিজে করা যায় না। আমি কি, কতটা করতে পেরেছি তার মূল্যায়ণ করবে মানুষ। যদি নিজে মূল্যায়ন করি তাহলে বলব, আমি আমার ক্যারিয়ারে ভালো ভালো কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি। সেসব ভালো কাজ মানুষ পছন্দ করেছে বলেই আজকে আমি শাবনূর হয়েছি। নিজের ক্যারিয়ারে নায়ক হিসেবে শাবনূর এগিয়ে রেখেছেন সালমান শাহকে। তারপর রিয়াজ ও ফেরদৌসকে। শাবনূর বলেন, আমার প্রজন্মের সব থেকে স্মার্ট নায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস। তাদের কথা বলার ধরন, আচরণ সবকিছুই আকর্ষণীয় এবং অসম্ভব মেধাবী। তারা সিনেমায় নিজের যোগ্যতা দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। তাদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা ভালো। কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর হেল্পফুল তারা। সিনেমার বর্তমান দুর্দশার কারণ সম্পর্কে শাবনূর বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো শিল্পী নেই, ভালো চিত্রনাট্যকার নেই। সিনেমা হলের অবস্থাও ভালো না। অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমার ব্যবসার মূল ভরসা গ্রামের মানুষ। গ্রামের হলগুলো হাউজফুল হলেই সিনেমা হিট হয়। সেই গ্রামের মানুষ এখন সিনেমা দেখে না। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ছবির উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ এগিয়ে আসলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। শাবনূরকে কখনো নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় না। এমনকি টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন না। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটপর্দায় কাজ করতে চেয়েছি। সময়ের কারণে করা হয়ে ওঠেনি। সিনেমা নিয়েই দম ফেলার সময় ছিল না। ছোট পর্দায় কাজ না করার আরেকটা বড় কারণ হলো, বড় পর্দায় নিজেকে রানী মনে হয়। তাছাড়া, মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে সিনেমা হলে যায়। ছোট পর্দায় সেটার দরকার হয় না। মানুষ বিনামূল্যে দেখতে পারে। সিনেমা পরিচালনা পরিচালনা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমা বানাতে চাই। প্রযোজক বারবার সিনেমা বানানোর কথা বলছেন। আমার ছেলের কারণে করা হয়ে উঠছে না। আমার পুরো মনোযোগ এখন ছেলের দিকে। ওকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, শিল্পী অনেক আছে। তবে কয়জন যোগ্য এ বিষয়টি দেখার বিষয় আছে। তাছাড়া যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগও তো দিতে হবে। এখন সিনেমার সংখ্যাই কমে গেছে। এসব শিল্পীর সুযোগ কোথায়? এই যে রিয়াজ, ফেরদৌস কাজ করছেন না। অথচ তাদের নিয়ে সুন্দর সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব। পরিচালকদের মধ্যে সেই ইচ্ছাটা তো থাকতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মধ্যবয়সি নায়করা ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিচ্ছেন। তাদের নিয়ে পরিচালক সিনেমা বানাচ্ছেন। একমাত্র আমাদের দেশে ব্যতিক্রম দেখি। অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে সময় কাটছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাবনূর বলেন, এখানে নিজের কাজ নিজের করতে হয়। বাংলাদেশের মতো কাজের লোক পাওয়া যায় না। সেজন্য নিজের কাজ নিজে করতে গিয়ে সময় চলে যায়। তাছাড়া আমি এখানে জুম্বা ক্লাস করছি। জুম্বা এক ধরনের ড্যান্স। এসব করেই দিন কেটে যাচ্ছে। সামনে আরও কিছু কোর্সে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা আছে। মুটিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বয়সের সঙ্গে শরীর, মন বদলায়। যখন নায়িকা ছিলাম তখন সেই বয়সে যেমন থাকার কথা ছিল তেমন ছিলাম। এখন এই বয়সে যেমন থাকার কথা তেমন আছি। আমি এমনিতেই প্রচুর খাবার খাই এখন। বিরিয়ানি, বার্গার সব। অস্ট্রেলিয়াতে আসার পর আমি প্রতিদিন রেস্তোঁরাতে যাই আর বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাই। সিনেমায় অভিনয় করার সময় ¯ি¬ম থাকার জন্য যেসব খাবার খেতে পারিনি সেসব এখন খাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।